এসকে সিনহার বিরুদ্ধে আরও দু’জনের সাক্ষ্য
প্রকাশিত : ১৬:১২, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | আপডেট: ১৬:২৭, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২১
সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা (এসকে সিনহা) ও ১০ জনের বিরুদ্ধে ব্যাংক কর্মকর্তাসহ আরও দু’জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। ফারমার্স ব্যাংক (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) থেকে ৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন তারা।
আজ মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলমের আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন ঢাকা ব্যাংকের উত্তরা শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট আবু জাহিদ আনছারি ও সুপ্রিমকোর্টের বেঞ্চ রিডার মোহাম্মদ মাহবুব হোসেন।
এ নিয়ে মামলায় ২১ জনের মধ্যে ১৮ জনের সাক্ষ্য শেষ হলো। আদালত আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন।
২০২০ সালের ১৩ আগস্ট ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর আগে একই বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ-৪ এ বদলির আদেশ দেন।
গত ১০ ডিসেম্বর আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক বেনজীর আহমেদ। এর আগে ৪ ডিসেম্বর কমিশনের সভায় ১১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দেয়া হয়।
মামলার আসামিদের মধ্যে ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতী কারাগারে, ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক এমডি একেএম শামীম, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান ও একই এলাকার বাসিন্দা নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা জামিনে আছেন।
মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, ফারমার্স ব্যাংকের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, রণজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায়কে পলাতক দেখানো হয়েছে।
এ মামলা চলাকালে এক আসামি মৃত্যুবরণ করায় তাকে চার্জশিট থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। নতুন করে একজনের নাম অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। তদন্ত শেষে নতুন করে আসামি করা হয়েছে ফারমার্স ব্যাংকের নিরীক্ষা কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতীকে।
দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বাদি হয়ে গত বছরের ১০ জুলাই মামলাটি করেন। ফারমার্স ব্যাংকের দুটি হিসাব থেকে ৪ কোটি টাকা ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে জালিয়াতির ‘প্রমাণ’ পাওয়ার তথ্য গত বছরের অক্টোবরে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে ৪ কোটি টাকা ঋণ পেয়েছিলেন কথিত ব্যবসায়ী শাহজাহান ও নিরঞ্জন। সেই টাকা রনজিৎ চন্দ্র সাহার হাত ঘুরে বিচারপতি এসকে সিনহার বাড়ি বিক্রির টাকা দেখিয়ে তার ব্যাংক হিসাবে ঢুকেছে বলে অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তে নামে দুদক।
অভিযোগে বলা হয়, সেই ব্যাংক হিসাব থেকে পরবর্তী সময়ে টাকা স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে পাচার করা হয়।
দুদক বলছে, মামলার তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তাই সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তার সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে বিদেশে অবস্থানরত এসকে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন দেয়া হয়। (বাসস)
এএইচ/
আরও পড়ুন