ঢাকা, বুধবার   ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

স্বাক্ষর জালিয়াতি মামলায় আসামিকে পুলিশে দিলো হাইকোর্ট

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:৫৫, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | আপডেট: ২২:৫৬, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সহকারী সামরিক সচিবের সীল-স্বাক্ষর জালিয়াতির মামলায় লালমনিরহাটের মো. করিম মিয়া নামের এক আসামীকে জামিন না দিয়ে পুলিশে দিয়েছে হাইকোর্ট। তার আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়ে বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেয়। আদালত থেকে করিম মিয়াকে শাহবাগ থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. আমজাদ হোসেন।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সহকারী সামরিক সচিব মো. সাইফ উল্লাহর সীল-স্বাক্ষর জাল করেছে আসামি মো. করিম মিয়া। এ ঘটনায় তিনজনের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা হয়। এই মামলায় দুই আসমি গ্রেফতার হলেও করিম মিয়া পলাতক ছিলেন। এর মধ্যে তিনি হাইকোটের আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন। আজ তার আবেদনটি শুনানির পর জামিন না দিয়ে তাকে শাহবাগ থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি ভোর ৫টায় রংপুর-বগুড়া মহাসড়কে বড় ঈদগাহ হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সামনে রাত্রীকালীন পাহাড়ার সময় বরাগ বাঁশ বোঝাই লালমনিহাট থেকে ঢাকাগামী একটি ট্রাক থামায় হাইওয়ে পুলিশ।

জিজ্ঞাসাবাদে ট্রাকের ড্রাইভার মো. আজিম উদ্দিন ও তার সহযোগী (হেলপার) মো. মোতালেব হোসেন জানায় এই বাঁশ প্রধানমন্ত্রীর বাস ভবনে রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তখন তারা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সহকারী সামরিক সচিব মো. সাইফ উল্লাহর সীল-স্বাক্ষর দেয়া একটি চিঠি দেখায়। 

জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ড্রাইভার আজিম উদ্দিন জানান, এ চিঠিটি ট্রাকের মালিক মো. করিম মিয়া তাকে দিয়েছে। এতে পুলিশের সন্দেহ হলে বাঁশভর্তি ট্রাক ও চিঠিটি জব্দ করে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা হাইওয়ে পুলিশের বগুড়া অঞ্চলের সুপার ও সহকারী পুলিশ সুপারকে জানান। পুলিশ সুপার (এসপি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সহকারী সামরিক সচিব মো. সাইফ উল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান যে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এ ধরনের কোনো চিঠি দেয়া হয়নি। এ পর্যায়ে আসামিরা স্বাক্ষর জালের কথা স্বীকার করেন।

পরে ট্রাকের মালিক করিম মিয়াসহ তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন রংপুরের পীরগঞ্জের বড়দরগাহ পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মোয়াজ্জেম হোসেন।

ট্রাকের মালিক আসামি মো. করিম মিয়ার বাড়ি লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার উত্তর বালাপাড়া গ্রামে। ট্রাকের ড্রাইভার মো. আজিম উদ্দিনের বাড়ি একই উপজেলার উত্তর বত্রিশ হাজারী গ্রামে। আর ড্রাইভারের সহযোগী (হেলপার) মো. আজিম উদ্দিনের বাড়ি উপজেলার হরেরাম গ্রামে।- বাসস

এসি
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি