ঢাকা, রবিবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ৯ জনের বিরুদ্ধে রায় কাল (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:১৮, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ময়মনসিংহের ৯ জনের বিরুদ্ধে রায় হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার। বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃতাধীন ৩ সদস্যর ট্রাই্যবুনাল এ দিন নির্ধারণ করেন। এদিকে এই প্রথম মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায়  কোন প্রতিমন্ত্রী সাক্ষ্য দিলেন। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ সকালে ময়মনসিংহের সাবেক মন্ত্রী এমএ হান্নানের নির্যাতনের বর্ণনা করেন ট্রাইব্যুনালে।

করোনা সংক্রমণের কারণে ২০২০ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধের কোনো মামলার রায় হয়নি। যুক্তিতর্ক ও শুনানি শেষে গত বছরের ২৬ জানুয়ারি ময়মনসিংহের ৯ যুদ্ধাপরাধীর মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমান রাখা হয়েছিল।

মামলার বিবরণীতে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের সময় ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের নিগুয়ারী ইউনিয়নের সাধুয়া গ্রাম ও টাঙ্গাব ইউনিয়নের রৌহা গ্রামে আসামিরা অপরাধ সংঘটিত করে। তারা সবাই রাজাকার বাহিনীর সদস্য ছিলেন।

অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও হত্যার মত অপরাধের চারটি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে এ আসামিদের বিরুদ্ধে। 

প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন বলেন, ময়মনসিংহের খলিলুর রহমানসহ মোট ৯ আসামীদের যে মামলাটা আগে এটি সিআইবিতে ছিল। কোর্ট ১১ তারিখ বৃহস্পতিবার এটির রায়ের জন্য নির্ধারণ করেছে।

এদিকে মুক্তিযুদ্ধের সময় ময়মনসিংহের নাসিরাবাদের কলেজিয়েট স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন কেএম খালিদ। তিনি ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার আসামি ও সাবেক সংসদ সদস্য এমএ হান্নানের নির্যাতনের কথা তুলে ধরেন। 

প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ বলেন, আমি যেটা বলেছি তা কোর্টে রেকর্ড আছে। আপনারা চাইলেই এর নকল নিতে পারবেন।

সাবেক সংসদ সদস্য এমএ হান্নান, তার ছেলে সাজ্জাদসহ আটজনের বিরুদ্ধে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, নির্যাতন ও চারজনকে হত্যার পাঁচটি অভিযোগ রয়েছে।

প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সিমন বলেন, উনি যেহেতু নিজেই নির্যাতিত, তার বিরুদ্ধে একটা অভিযোগ আছে তখন তিনি দশম শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন। উনি নিজের বিষয়টি এবং উনি যেটা দেখেছেন, ওনার সামনে যেসব ঘটনা ঘটেছে তা উল্লেখ করেছেন।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সাংসদ এমএ হান্নানসহ ছয় আসামি কারাগারে রয়েছে। বাকি দুইজন পলাতক।
ভিডিও :

এএইচ/এসএ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি