ঢাকা, শনিবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

ভার্চুয়ালি বিচার কার্যক্রম: আসামির মৃত্যুদণ্ড কমে ১০ বছরের জেল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:১১, ৬ জুলাই ২০২১ | আপডেট: ২০:১৪, ৬ জুলাই ২০২১

Ekushey Television Ltd.

সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে পূর্ণাঙ্গরূপে আজ বিচারকার্য পরিচালনা করেছেন। সুপ্রিমকোর্টের মুখপাত্র ও বিশেষ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমান আজ বলেন, ‘আপিল বিভাগের মাননীয় বিচারপতিবৃন্দ নিজ নিজ বাসগৃহ হতে ভার্চুয়াল শুনানিতে অংশ গ্রহণ করেছেন।’

মুখপাত্র বলেন, এটর্নি জেনারেল এবং তার অফিসের অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল ও ডেপুটি এটর্নি জেনারেলগণ নিজ নিজ বাসা হতে শুনানিতে অংশগ্রহণ করেছেন। সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবীগণ তাদের নিজ নিজ বাসগৃহ হতে শুনানিতে সংযুক্ত হয়েছেন। সুপ্রিমকোর্টের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীগণ তারাও নিজ নিজ বাসা হতে সংযুক্ত হয়েছেন।

মোহাম্মদ সাইফুর রহমান জানান, আজ আপিল বিভাগে ২টি ডেথ রেফারেন্স সংক্রান্ত জেল পিটিশন মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। 

তিনি বলেন, আইনজীবীগণ আদালত প্রাঙ্গণে না এসে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে নিজ নিজ গৃহ থেকে শুনানিতে সংযুক্ত হয়েছেন। আদালতে কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী আসেন নাই এবং তারা প্রত্যেকে নিজ নিজ গৃহ হতে আদালতের সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছেন।

আজ একটি হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ডাদেশ কমিয়ে কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগ। মামলার সব পক্ষকে শুনে সন্তান হত্যার দায়ে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পিতার সাজা কমিয়ে ১০ বছর কারাদন্ড দিয়ে রায় দেয় আদালত। 

ওই হত্যার ঘটনায় ২০০৭ সালের ২ এপ্রিল শিশুটির মা ফাতেমা বেগম তার স্বামী জসীমের বিরুদ্ধে বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। এই মামলায় ২০০৮ সালের ২৮ জুলাই বিচারিক আদালত রায় দেন। রায়ে আসামি জসীমের মৃত্যুদন্ড হয়। এর বিরুদ্ধে জসীমের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ১৪ নভেম্বর হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে জসীমের মৃত্যুদন্ড বহাল থাকে। 

এর বিরুদ্ধে একই বছর জসীম জেল আপিল করেন। এই জেল আপিলের শুনানি শেষে আজ রায় দেয়া হয়। এই আসামি ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করেছেন। অন্য কোনো মামলা না থাকলে তার মুক্তিতে আইনগত বাধা নেই বলে জানান আইনজীবীরা। 

করোনায় সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, করোনায় দেশের অবস্থা খুব খারাপ।

আজ ভার্চুয়ালি শুনানির শুরুতেই সুপ্রিমকোর্ট বারের সম্পাদক ব্যারিস্টার মোঃ রুহুল কুদ্দুস কাজল হাইকোর্ট বিভাগের অধিক সংখ্যক বেঞ্চ খুলে দেয়ার অনুরোধ করেন। তখন প্রধান বিচারপতি করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি বিষয়ে এসব কথা বলেন।

এসি

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি