ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৫ নভেম্বর ২০২৪

আপিলেও চিকিৎসক নাজনীন হত্যার আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৪৯, ১২ জুলাই ২০২১ | আপডেট: ১৩:০৬, ১২ জুলাই ২০২১

রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালের চিকিৎসক নাজনীন আক্তার ও তার গৃহকর্মীকে হত্যার ঘটনায় আসামি আমিনুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আসামির করা জেল আপিল খারিজ করে সোমবার এ রায় ঘোষণা করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনসহ ছয় বিচারপতির ভার্চুয়াল আপিল বেঞ্চ।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। আসামিরপক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী এবিএম বায়েজীদ।

আইন অনুযায়ী এ রায় প্রকাশের পর আসামির মৃত্যু পরোয়ানা জারি হবে। কারা কর্তৃপক্ষ মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের উদ্যোগ নেবে। তবে আসামি রিভিউ আবেদন করলে ফাঁসি কার্যকর স্থগিত থাকবে।

রিভিউ আবেদন খারিজ হলে ফাঁসি কার্যকরে আর কোনো আইনগত বাধা থাকবে না। সর্বশেষ রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার একটি সুযোগ থাকবে আসামির।

মামলা থেকে জানা গেছে, ল্যাবএইড হাসপাতালের চিকিৎসক ছিলেন নাজনীন আক্তার। তার স্বামী আসারুজ্জামানের আপন ভাগ্নে আমিনুলকে লেখাপড়া করানোর জন্য ঢাকায় নিয়ে আসেন। ভর্তি করেন মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজে।

২০০৫ সালের ৭ মার্চ হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরার পর নাজনীনকে কুপিয়ে হত্যা করেন ভাগ্নে আমিনুল। পারুল নামের সে বাসার গৃহকর্মী খুন করা দেখে ফেলায় তাকেও কুপিয়ে হত্যা করে আমিনুল। এ ঘটনায় ধানমণ্ডি থানায় একটি হত্যা মামলা হয়। ঘটনার পরে আসামি পালিয়ে বগুড়ায় চলে যান। সেখান থেকে যান ফরিদপুরে। কয়েকদিন পর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে বলে মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে।

এ মামলায় ২০০৮ সালে আমিনুলকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় দেয় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪। পরে এ মৃত্যুদণ্ডদেশ অনুমোদনের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি হাইকোর্টে আপিল করে আমিনুল। শুনানি শেষে ২০১৩ সালে বিচারিক আদালতের মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখে হাইকোর্ট।

এরপর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে জেল আপিল করে আমিনুল। ওই আপিলের শুনানি শেষে আজ আপিল তার আবেদন খারিজ করে দেয়। ফলে তার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল থাকল।
এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি