সম্রাট আর খালেদের তথ্যের জন্য আটকে আছে অভিযোগপত্র
প্রকাশিত : ১২:১৪, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ | আপডেট: ১৪:১৯, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
পাচারকৃত অর্থের তথ্য যাচাই-বাছাই শেষ হয়নি দুই বছরেও। এ কারণে বহিস্কৃত যুবলীগ নেতা সম্রাট, খালেদ ও অনু-রূপমের তিন মামলার অভিযোগপত্র দিতে সময় নিচ্ছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি। সম্রাটের ১৯৫ কোটি টাকা, খালেদের ৮ কোটি টাকা। পাঁচারের প্রাথমিক তথ্য পেয়েছে সংস্থাটি। এদিকে র্যাব বলছে, ক্যাসিনো পরিচলানার তথ্য পেলে অভিযান চালানো হবে।
২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইয়াংম্যান্স ক্লাব দিয়ে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু করে র্যাব। সেদিন মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদ খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়া ওরফে ল্যাংড়া খালেদকে গ্রেফতার করা হয়।
ধারাবাহিক অভিযানে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা ,এফডিআর সহ আলোচিত ঠিকাদার জিকে শামীম গ্রেফতার হন ওই বছরের ২০ সেপ্টেম্বর।একইদিনে কলাবাগান ক্লাবের সভাপতি ফিরোজকে ক্যাসিনো ব্যবসার অভিযোগে গ্রেফতার করে র্যাব।
এরই পনের দিনের মাথায় ৬ অক্টোবর ভোরে ক্যাসিনো কাণ্ডে সবচেয়ে আলোচিত চরিত্র বহিস্কৃত যুবলীগ নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেফতার করে র্যাব।
এসব অভিযানে আটকদের বিরুদ্ধে দায়ের হয় কমপক্ষে দুই ডজন মামলা। এরমধ্যে ৯টি মামলার তদন্ত ভার পায় এলিট ফোর্স। যার সবকটিরই অভিযোগপত্র হয়েছে। সংস্থাটির কর্মকর্তারা বলছেন, সবগুলো মামলার চার্জশীট দেয়া হয়েছে। ওই অভিযানের পর থেকে সাম্প্রতিক সময়ে ক্যাসিনো ব্যবসার তথ্য নেই তাদের কাছে।
র্যাবের লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইং আল মইন বলেন, ‘আমাদের তথ্য অনুযায়ী এই ধরণের অপরাধ খুব একটা দেখছিনা। আমরা যদি তথ্য পাই কোথাও ক্যাসিনো কর্মকান্ড চলছে বা কোন ক্লাবে ক্লাবের কর্মকান্ড বাদ দিয়ে ক্যাসিনো কর্মকান্ড চালাচ্ছে অথবা অন্য কোথাও এ ধরনের কোন তথ্য পাই তাহলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করব।’
এদিকে ক্যাসিনোর ১৩ মামলার মধ্যে ১০টির অভিযোগপত্র দিয়েছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি।
এরমধ্যে সম্রাট আর খালেদের তথ্যের জন্য আটকে আছে অভিযোগপত্র, আর অনু-রূপনের মামলার অভিযোগপত্র নিষ্পত্তি হবার পথে।
এ ব্যপারে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘সম্রাট চৌধুরীর যে মামলাটা এটাতে ১৯৫ কোটি টাকা মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুরে পাঁচারের তথ্য আমাদের কাছে আছে। এখন আমরা পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাওয়ার পরে যাচাই বাচাই করে বলতে পারব মূলত কত টাকা পাঁচার হয়েছে। আর খালেদ মাহমুদের ৮ কোটি টাকা পাঁচারের তথ্য আছে আমাদের কাছে। মালয়শিয়া-সিঙ্গাপুর এবং থাইল্যান্ডে। এটার ও একই অবস্থা,পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাওয়ার পর বলতে পারবো আসলে কত টাকা পাঁচার হয়েছে
ক্যাসিনো চক্রের বিরুদ্ধে নজরদারীর আরো বাড়ানোর কথা জানান এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা।
দেখুন ভিডিও :
এমএম/ এসএ/
আরও পড়ুন