সাহেদের সঙ্গে আসামি হচ্ছেন স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজিসহ ৬ জন
প্রকাশিত : ১৮:০২, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১
সাহেদ ও সাবেক ডিজি আবুল কালাম আজাদ
মেয়াদহীন লাইসেন্স নিয়ে করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ ও চিকিৎসার জন্য চুক্তি করে সরকারি অর্থ আত্মসাতের মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদের সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদসহ মোট ছয় জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরিফ সাদেক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “শিগগিরই এই অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হবে।”
অভিযোগপত্রের অপর চার আসামি হলেন- স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সাবেক পরিচালক আমিনুল হাসান, উপ-পরিচালক (হাসপাতাল-১) মো. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক (হাসপাতাল-১) মো. শফিউর রহমান এবং গবেষণা কর্মকর্তা মো. দিদারুল ইসলাম।
গত বছরের মার্চে দেশে প্রথম শনাক্ত হওয়া মহামারী করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা ও চিকিৎসার খরচ বাবদ মোট ৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত ২৩ সেপ্টম্বর পাঁচজনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী।
সেখানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদের নাম না থাকলেও তদন্ত শেষে তাকেও আসামি করা হচ্ছে অভিযোগপত্রে।
আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয় এ মামলায়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে লাইসেন্স নবায়নবিহীন বন্ধ রিজেন্ট হাসপাতালকে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে রূপান্তর, মেমোরেন্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং সম্পাদন ও সরকারি প্রতিষ্ঠান নিপসমের ল্যাবে ৩ হাজার ৯৩৯ জন কোভিড রোগীর নমুনা বিনামূল্যে পরীক্ষা করিয়েছেন। যেখান থেকে অবৈধ পারিতোষিক বাবদ রোগী প্রতি সাড়ে ৩ হাজার টাকা হিসেবে ১ কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা গ্রহণ করা হয়েছে।
এছাড়া রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখার চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয় ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের খাবার খরচ বরাদ্দের বিষয়ে এক কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার টাকার মাসিক চাহিদা তুলে ধরেছেন।
এর প্রেক্ষিতে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে ২০২০ সালের জুলাইয়ে বন্ধ করে দেয়া হয় রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখা।
এনএস//
আরও পড়ুন