সিনহা হত্যা মামলা: দশম সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
প্রকাশিত : ১১:৩৩, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১ | আপডেট: ১১:৩৪, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রদীপ কুমারসহ অন্য আসামীদের আদালতে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার দশম সাক্ষী হাফেজ জহিরুল ইসলামের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। তৃতীয় দফায় সাক্ষ্যগ্রহণ চলবে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টারদিকে তৃতীয় দফায় ১০নং সাক্ষী হাফেজ জহিরুল ইসলামের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। উপস্থিত অন্যদের মধ্যে সাক্ষী কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: শাহীন আবদুর রহমান, ডা: রনধীর দেবনাথ ও সেনা সদস্য সার্জেন্ট আয়ুব আলীর সাক্ষ্যগ্রহণ নেয়ার কথা রয়েছে।
এসময় আসামিপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট রানা দাশ গুপ্ত উপস্থিত ছিলেন। এ সাক্ষ্যগ্রহণ চলবে বুধবার ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
এরআগে গত ২৩ থেকে ২৫ আগস্ট টানা তিনদিন মামলার প্রথম দফায় ১নং সাক্ষী ও বাদি শারমিন সাহরিয়া ফেরদৌস ও ২নং সাক্ষী সাহেদুল ইসলাম সিফাতের সাক্ষ্য নো হয়। একইভাবে গত ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর টানা ৪ দিনে দ্বিতীয় দফায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করেন আদালত। এ নিয়ে এ পর্যন্ত ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
গত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
এ ঘটনায় গত বছর ৫ আগস্ট সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় লিয়াকত আলীকে। আদালত মামলার তদন্ত ভার দেয়া হয় র্যাবকে। ঘটনার ৬ দিন পর ওসি প্রদীপ ও পরিদর্শক লিয়াকতসহ ৭ পুলিশ সদস্য আত্মসমপর্ণ করেন।
ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় একটি এবং রামু থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করেন। পরে র্যাব পুলিশের দায়ের করা মামলার ৩ সাক্ষি এবং শামলাপুর চেকপোস্টে দায়িত্বরত আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের (এপিবিএন) ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। এরপর গ্রেপ্তার করা হয় টেকনাফ থানা পুলিশের সাবেক কনস্টেবল রুবেল শর্মাকে। সর্বশেষ গত ২৪ জুন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন টেকনাফ থানার সাবেক এএসআই সাগর দেব।
গত বছর ১৩ ডিসেম্বর র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়ানের তৎকালীন দায়িত্বরত সহকারি পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। গত ২৭ জুন আদালত ১৫ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এতে সাক্ষি করা হয় ৮৩ জনকে।
এএইচ/
আরও পড়ুন