ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

অর্থপাচার মামলা ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি

শাকেরা আরজু

প্রকাশিত : ১২:৩৬, ৯ নভেম্বর ২০২১

ক্যাসিনো থেকে উদ্ধারকৃত টাকা

ক্যাসিনো থেকে উদ্ধারকৃত টাকা

অর্থপাচারের অভিযোগে ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত দায়ের করা মামলা ছয় মাসের মধ্যে বিচারিক আদালতে নিষ্পত্তির আশা করছে দুদক। আর এ অপরাধের সাজা বাড়াতে আইন সংশোধনের কথা বললেন রাষ্ট্রের আইনজীবী।

ক্যাসিনো কাণ্ড থেকে বিদেশে হাজার হাজার কোটি কোটি টাকা পাচারের বিষয়টি আলোচনায় আসে। উঠে আসে কানাডার ‘বেগমপাড়া’র প্রসঙ্গ।

গণমাধ্যমে এসব প্রতিবেদন নজরে আসার পর অর্থপাচারকারীদের নাম-ঠিকানার পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে আইনগত কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট।

যেসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে জানতে চাওয়া হয় তার মধ্যে দুদকও রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির আইনজীবী জানান, গত ৩ বছরে ৫০ থেকে ৬০টি মামলা হয়েছে অর্থপাচারের ঘটনায়। এসব মামলাগুলোর বেশিরভাগই সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে আছে। কিছু মামলার তদন্ত চলছে।  

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, অনেকগুলোর মামলার তদন্ত শেষে এখন সাক্ষ্য-প্রমাণ পর্যায়ে চলছে। এর মধ্যে অনেকগুলো মামলার সাক্ষী শুরু হয়ে গিয়েছে এবং অনেকগুলো শুরু হওয়ার পথে। বাকিগুলোর চার্জশিট দেয়ার পর ইতিমধ্যে ট্রায়াল শুরু হয়ে গেছে, বিচার চলছে।

আগামী ৬ মাসের মধ্যে মামলাগুলো বিচারিক আদালতে নিষ্পত্তির আশা করছেন দুদকের আইনজীবী। 

খুরশীদ আলম খান বলেন, এখন যেভাবে চলছে তাতে আমরা আশা রাখি, আগামী ৬-৯ মাসের মধ্যেই মামলার নিষ্পত্তি হয়ে যাবে।

পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারে বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে বলে জানান রাষ্ট্রের আইনজীবী। অর্থপাচার আইনে সাজা বৃদ্ধির জন্য আইন সংশোধনের কথাও বললেন তিনি। 

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কেএম আমিন উদ্দিন বলেন, “২০০৯ সালের আইনে মানিলন্ডারিংয়ে সর্বোচ্চ সাজা ৭ বছর এবং ২০১২ সালের আইনে সাজা ১২ বছর। এই সাজার বিষয়টি আরও বৃদ্ধি করা দরকার। সাজা বৃদ্ধি না করলে এরা অপরাধ করেই যাচ্ছে।”
       
২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত অর্থপাচারের অপরাধের ৪৭টি মামলায় আদালতে চার্জশিট দিয়েছে দুদক। এছাড়াও ৮৮টি মামলা তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে দুদক।

ভিডিও-

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি