ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

ফের পেছালো তিন্নি হত্যা মামলার রায়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৫৬, ১৫ নভেম্বর ২০২১ | আপডেট: ১৩:১২, ১৫ নভেম্বর ২০২১

রায় হয়নি মডেল সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি হত্যা মামলার। বরং রায় থেকে উত্তোলন করে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত। আগামী বছর ৫ জানুয়ারি সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে।

সোমবার (১৫ নভেম্বর) ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ কেশব রায় চৌধুরীর আদালতে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য ধার্য ছিল। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রায়ের জন্য নথি উপস্থাপন হলে মামলার রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর ভোলা নাথ দত্ত জানান, তিন্নির বাবা সৈয়দ মাহবুবুল করিম ও চাচা সৈয়দ রেজাউল করিম আদালতে উপস্থিত হয়েছেন। তারা রায় হবে জানতেন না। পত্রিকায় দেখে এসেছেন। এর আগে বাবার আংশিক সাক্ষী হয়েছিল। আর চাচার সাক্ষী হয়নি। তারা পুনোরায় সাক্ষ্য দিতে চান। ফলে রায় থেকে উত্তোলনের জন্য আবেদন করা হয়। আদালত তা মঞ্জুর করে দুজনের সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী বছর ৫ জানুয়ারি ধার্য করেছেন।

এদিকে, সোমবার আদালতে সাক্ষী দিতে হাজির হয়েছিলেন মডেল সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নির বাবা ও চাচা।

এর আগে কয়েক দফা পেছায় তিন্নি হত্যা মামলার রায়ের তারিখ। এ মামলার একমাত্র আসামি নব্বইয়ের দশকের ছাত্রদল নেতা গোলাম ফারুক অভি। যিনি পরবর্তীতে জাতীয় পার্টির হয়ে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিন্নি হত্যা মামলা ছাড়াও অন্য আরেকটি হত্যা মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড মাথায় নিয়ে দেশ থেকে পালিয়ে বর্তমানে তিনি কানাডায় অবস্থান করছেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০০২ সালের ১০ নভেম্বর রাতে খুন হন মডেল তিন্নি। 

কেরানীগঞ্জের বুড়িগঙ্গা নদীর ১ নম্বর চীন মৈত্রী সেতুর ১১ নম্বর পিলারের পাশে ২০০২ সালের ১০ নভেম্বর অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীর মরদেহ পায় পুলিশ। কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে সুরতহালের পর ময়নাতদন্ত করে। মর্গে চার দিন রাখার পর ১৫ নভেম্বর অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয় ওই নারীকে। মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় একটি হত্যা মামলা করেন কেরানীগঞ্জ থানার তৎকালীন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. শফিউদ্দিন। অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তদের আসামি করা হয় মামলায়। এরপর পত্রিকায় ওই নারীর মরদেহের ছবি প্রকাশ হলে সেটি মডেল সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নির বলে শনাক্ত করেন তার স্বজনরা। চাঞ্চল্যকর হিসেবে ২০০২ সালের ২৪ নভেম্বর মামলাটির তদন্তভার পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে ন্যস্ত করা হয়। আর তদন্তের দায়িত্ব পান সিআইডির তৎকালীন পরিদর্শক ফজলুর রহমান। এরপর মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পান সিআইডির পরিদর্শক সুজাউল হক, সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) গোলাম মোস্তফা, এএসপি আরমান আলী, এএসপি কমল কৃষ্ণ ভরদ্বাজ ও এএসপি মোজাম্মেল হক।

সবশেষ তদন্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক ২০০৮ সালের ৮ নভেম্বর সাবেক ছাত্রনেতা ও সাংসদ গোলাম ফারুক অভিকে একমাত্র আসামি করে আদালতে মামলাটির অভিযোগপত্র জমা দেন। ২০১০ সালের ১৪ জুলাই অভির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গঠন করে আদালত। অভিযোগপত্রভুক্ত ৪১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
এসএ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি