ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

শারীরিক উপস্থিতিতে বিচার কাজে সুপ্রিম কোর্ট

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:১৭, ১ ডিসেম্বর ২০২১ | আপডেট: ১৩:৩৯, ১ ডিসেম্বর ২০২১

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে দেড় বছর ভার্চুয়াল মাধ্যমে বিচার কাজ চলার পর স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শারীরিক উপস্থিতিতে শুরু হয়েছে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম।

বুধবার সকাল ৯টায় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বিভাগে দিনের কার্যতালিকা অনুযায়ী মামলার বিচারকার্য শুরু হয়।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘ভার্চুয়াল মাধ্যমে আদালত চলাকালীন অনেক মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। এই সময়ে আপিল বিভাগে থাকা ২৪ হাজার মামলার মধ্যে নিষ্পত্তি হয়ে এখন সাড়ে ১৫ হাজারের মতো মামলা রয়েছে।’

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে গত বছর দেশে আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। তবে বিচার বিভাগকে সচল রাখার লক্ষ্যে ২০২০ সালের ৭মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘আদালত কর্তৃক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ- ২০২০’ এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।

তার দুই দিন পর ৯ মে ভার্চুয়াল উপস্থিতিকে সশরীরে উপস্থিতি হিসেবে গণ্য করে অধ্যাদেশটি জারি করেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। এর পর গত বছরের ১০ মে ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনা সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে ১১ মে থেকে সীমিত পরিসরে বিচারিক কার্যক্রম শুরুর মাধ্যমে দেশে ভার্চুয়াল আদালতের দরজা খুলে দেন সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন জারি কর প্র্যাকটিশ ডাইরেকশন। 

এর মধ্য দিয়ে দেশের বিচার বিভাগ ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করে। প্রথমে দেশের অধস্তন আদালত, এর পর হাইকোর্ট এবং পরবর্তীসময়ে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার কোর্ট ও আপিল বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম চলতে থাকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে।

গত ২৯ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের সাথে আলোচনাক্রমে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ১ ডিসেম্বর থেকে শারীরিক উপস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের উভয় (হাইকোর্ট ও আপিল) বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত দেন। সে অনুযায়ী বুধবার শারিরীক উপস্থিতিতে সর্বোচ্চ আদালতে কার্যক্রম শুরু হলো। 

সূত্র : বাসস

এসএ/

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি