ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

যুদ্ধাপরাধ মামলায় খালেক মণ্ডলের বিরুদ্ধে রায় বৃহস্পতিবার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:৪২, ২২ মার্চ ২০২২ | আপডেট: ১৯:১১, ২২ মার্চ ২০২২

মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল খালেক মণ্ডল ওরফে জল্লাদ খালেকসহ দু’জনের রায় বৃহস্পতিবার ২৪ মার্চ ঘোষণা করা হবে।

এর আগে সাক্ষ্য গ্রহণ ও যুক্তিতর্ক শেষে যে কোনো দিন রায় (সিএভি) ঘোষণার জন্য রেখে ২০২১ সালের ১১ নভেম্বর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল রায় ঘোষণার দিন ধার্য করে আজ আদেশ দেন। 

ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন সাংবাদিকদের রায়ের দিন ধার্যের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আসামিদের সর্বোচ্চ সাজার আর্জি পেশ করে ট্রাইব্যুনালে শুনানি করেছিলেন প্রসিকিউটর ছিলেন রেজিয়া সুলতানা চমন। আসামি খালেক মণ্ডলের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন আব্দুস সোবহান তরফদার ও মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন। অপর আসামি পলাতক খান রোকনুজ্জামানের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী ছিলেন গাজী এম এইচ তামিম।

এ মামলায় মোট আসামি ছিলেন চারজন। অপর দুই আসামি আব্দুল্লাহ হেল বাকী ও জহিরুল ইসলাম টেক্কা খান বিচার চলাকালে মারা যান।

২০১৮ সালের ৫ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। ২০১৭ সালের ১৯ মার্চ এ মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়। আনুষ্ঠানিক অভিযোগে আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, আটক, নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতটি অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ছয়জনকে হত্যা, দ’জনকে ধর্ষণ, ১৪ জনকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ।

২০১৫ সালের ১৬ জুন ভোরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার খলিলনগর মহিলা মাদ্রাসায় নাশকতার উদ্দেশে কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে গোপন বৈঠকের অভিযোগে আব্দুল খালেক মণ্ডলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই বছরের ২৫ আগস্ট খালেক মণ্ডলের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের তিনটি মামলার মধ্যে শহীদ মোস্তফা গাজী হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখান ট্রাইব্যুনাল।

শিমুলবাড়িয়া গ্রামের রুস্তম আলীসহ পাঁচজনকে হত্যার অভিযোগে ২০০৯ সালের ২ জুলাই খালেক মণ্ডলের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন শহীদ রুস্তম আলীর ছেলে নজরুল ইসলাম গাজী।

এ মামলার চার আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ৭ আগস্ট থেকে তদন্ত শুরু হয়ে গত ৫ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়। ২০১৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি চারজনের বিরুদ্ধে তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন ট্রাইব্যুনালের তদন্তকারী সংস্থা। পরে ৮ মার্চ অন্য তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।

একই বছরের ১৭ মার্চ সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলিপুর ইউনিয়নের বুলারাটী গ্রামের বাড়ি থেকে আব্দুল্লাহ-হেল বাকীকে গ্রেফতার করা হয়। ১৯ মার্চ হাজির করা হলে ঢাকায় থাকা ও ধার্য দিনে হাজিরের শর্তে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী এম আব্দুর রউফের হেফাজতে ১০৩ বছর বয়স্ক বাকীকে জামিন দেয়া হয়। 

আসামিদের বিরুদ্ধে সাতটি অভিযোগ আনা হলেও ট্রাইব্যুনালে ছয়টি অভিযোগ উপস্থাপন করা হয়।

সূত্র: বাসস
এমএম/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি