ব্লগার অনন্ত হত্যায় চার জনের মৃত্যুদণ্ড
প্রকাশিত : ১৩:২৮, ৩০ মার্চ ২০২২
সিলেটের ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ (৩২) হত্যায় চার জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সিলেটের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরুল আমীন বিপ্লব বুধবার এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার আগে বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এমাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলাম শাহীন জানান, তারা এরই মধ্যে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করেছেন। তাঁরা আশা করেছিলেন, আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা হবে।
জানা গেছে, অনন্ত হত্যা মামলায় ২৯ সাক্ষীর মধ্যে ২৪ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। পরে ১৪ মার্চ পলাতক তিন আসামির যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে সিলেটের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরুল আমীন বিপ্লব রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের ১২ মে সিলেট নগরের সুবিদবাজারে নুরানি আবাসিক এলাকার নিজ বাসার সামনে খুন হন অনন্ত। তিনি পেশায় ব্যাংকার ছিলেন। তবে, বিজ্ঞান নিয়ে লেখালেখির পাশাপাশি ‘যুক্তি’ নামের বিজ্ঞানবিষয়ক একটি পত্রিকা সম্পাদনা করতেন। এ ছাড়া বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন।
হত্যাকাণ্ডের পর অনন্তের বড় ভাই রত্নেশ্বর দাশ বাদী হয়ে সিলেট বিমানবন্দর থানায় অজ্ঞাতনামা চার জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এতে বিজ্ঞান বিষয়ে লেখালেখির কারণে অনন্তকে ‘উগ্র ধর্মান্ধ গোষ্ঠী’ পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে বলে অভিযোগ করা হয়।
মামলাটি পুলিশ থেকে অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) স্থানান্তর করা হয়। সিআইডির পরিদর্শক আরমান আলী তদন্ত করে ২০১৭ সালের ৯ মে সম্পূরক অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন। এতে সন্দেহভাজন আটক ১০ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করে ছয়জনকে অভিযুক্ত করা হয়।
অভিযোগপত্রভুক্ত ছিলেন ছয় আসামি। তাঁরা হলেন—সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার আবুল হোসেন (২৫), খালপাড় তালবাড়ির ফয়সাল আহমদ (২৭), সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বীরেন্দ্রনগরের (বাগলী) মামুনুর রশীদ (২৫), কানাইঘাটের পূর্ব ফালজুর গ্রামের মান্নান ইয়াইয়া ওরফে মান্নান রাহী ওরফে এ বি মান্নান ইয়াইয়া ওরফে ইবনে মঈন (২৪), কানাইঘাটের ফালজুর গ্রামের আবুল খায়ের রশীদ আহমদ (২৫) ও সিলেট নগরের রিকাবীবাজার এলাকায় বসবাসকারী ফারাবী সাফিউর রহমান (৩০)।
তাদের মধ্যে ২০১৭ সালের ২ নভেম্বর মান্নান হঠাৎ অসুস্থ হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আবুল হোসেন, ফয়সাল আহমদ ও মামুনুর রশীদ পলাতক।
এসএ/
আরও পড়ুন