ঢাকা, বুধবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

মতিন হত্যা: একজনের ফাঁসি, ৭ জনের যাবজ্জীবন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:০৬, ৩০ মার্চ ২০২২

Ekushey Television Ltd.

জয়পুরহাট সদর উপজেলার ধারকী গ্রামে আব্দুল মতিন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৭ আসামির মধ্যে একজনের দণ্ড বহাল রেখে বাকিদের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। 

এ ছাড়াও বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামির দণ্ড বহাল রেখেছেন আদালত।

বিচারপতি মো. ইকবাল কবির ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লা সমন্বয়ে গঠিত হাইকোটের্র একটি ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার এই রায় দেন।

বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ধারকী গ্রামের ওয়াজেদ আলী ওরফে তোরাফ, মো. চৈতুন মোল্লা, ছাবাদুল, মো. মাজিরউদ্দিন, মো. আনু, আবু হাসান দিলীপ ও মন্টু মিয়া।

যাবজ্জীবন প্রাপ্ত আসামি হলেন একই গ্রামের মাহবুব আলম বাবু। এ ছাড়া বিচার চলার সময়ে এক আসামির মৃত্যু হওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী এডভোকেট হেলাল উদ্দিন মোল্লা, আহসান উল্লাহ, নাজমুল হাসান রাকিব, সৈয়দা ফারাহ হেলাল ও মো. বেলাল হোসেন। আসামিপক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী ছিলেন এস এম শফিকুল ইসলাম।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল মো. আমিনুল ইসলাম।

২০০৬ সালের ২৭ অক্টোবর পূর্ব শত্রুতার জেরে ধারকী গ্রামের আব্দুল মতিনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার দিন রাতেই নিহতের ভাই মামলা করেন। বিচার শেষে এ মামলায় ২০১৬ সালের ১৭ আগস্ট সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন জেলা ও দায়রা জজ আব্দুর রহিম।

আইন অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরা ফৌজদারি আপিল ও জেল আপিল করেন।

ডেপুটি এটর্নি জেনারেল আমিনুল ইসলাম বলেন, “বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত ৭ জনের মধ্যে শুধুমাত্র মাজির উদ্দিনের সাজা বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। বাকিদের দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। এ ছাড়া বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত বাবুর দণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।”
এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি