ঢাকা, শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪

হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলায় চার আসামির মৃত্যুদণ্ড

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:১৯, ১৩ এপ্রিল ২০২২

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও লেখক ড. হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলায় চার আসামির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১৩ এপ্রিল) ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আল-মামুন মামলাটির এ রায় ঘোষণা করন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মিজানুর রহমান ওরফে মিনহাজ ওরফে শফিক, আনোয়ার আলম ওরফে ভাগিনা শহিদ, সালেহীন ওরফে সালাহউদ্দিন, নূর মোহাম্মদ ওরফে সাবু। আসামিদের মধ্যে মিনহাজ ও আনোয়ার বর্তমানে কারাগারে এবং সালাহউদ্দিন ও নূর মোহাম্মদ পলাতক।

এরআগে গত ২৭ মার্চ আলোচিত এ হত্যা মামলাটির যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিনটি ধার্য করেন আদালত। যুক্তি উপস্থাপনে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আসামীদের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদন্ড দাবি করা হয়। অন্যদিকে আসামিপক্ষ থেকে আসামিদের নির্দোষ দাবি করে খালাস চাওয়া হয়।

এ মামলার আসামিরা হলেন- জেএমবির শুরা সদস্য মিজানুর রহমান ওরফে মিনহাজ ওরফে শাওন, আনোয়ারুল আলম ওরফে ভাগিনা শহিদ, সালেহীন ওরফে সালাহউদ্দিন, রাকিবুল হাসান ওরফে হাফিজ মাহমুদ ও নূর মোহাম্মদ ওরফে সাবু। আসামিদের মধ্যে মিনহাজ ও আনোয়ার বর্তমানে কারাগারে। সালাহউদ্দিন ও নূর মোহাম্মদ পলাতক রয়েছেন। এছাড়া ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রিজনভ্যান থেকে তিন আসামি ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় ধরা পড়ে পরে ক্রসফায়ারে নিহত হন হাফিজ মাহমুদ। এ হত্যা মামলায় ৫৮ সাক্ষীর মধ্যে তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৪১ জন সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে।

একুশে বইমেলা থেকে বাসায় ফেরার পথে ২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারী সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন লেখক হুমায়ুন আজাদ। এসময় তাকে চাপাতি ও কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। এরপর তিনি ২২ দিন ঢাকা সিএমএইচ হাসপাতালে এবং ৪৮ দিন ব্যাংককে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এরপর ২০০৪ সালেরই ১২ আগস্ট (জার্মান সময়) তিনি জার্মানির মিউনিখে মারা যান। হামলার পরদিন তার ভাই মঞ্জুর কবির বাদী হয়ে রমনা থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেন।
এসএ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি