ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৪ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

ইছামতি নদীর ৪৩ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:২৯, ২৪ এপ্রিল ২০২২

Ekushey Television Ltd.

পাবনায় ইছামতি নদী তীরের ৪৩ ব্যক্তির অবৈধ দখলে থাকা জমির স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। এ বিষয়ে করা রিট আবেদন খারিজ করে এবং স্থিতাবস্থা তুলে নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাই কোর্ট বেঞ্চ রোববার (২৪ এপ্রিল) এ আদেশ দেয়।

রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালের ২৫ জুন ঢাকার চারপাশের চার নদীর (বুড়িগঙ্গা, ধলেশ্বরী, তুরাগ ও শীতলক্ষ্যা) মামলায় নদীর সীমানা সংক্রান্ত বিষয়ে হাইকোর্ট বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়ে রায় দিয়েছেন।

ওই রায়ে বলা হয়েছে, নদীর সীমানা সিএস রেকর্ড অনুযায়ী ধরতে হবে। আপিল বিভাগেও পরবর্তীতে ওই রায় বহাল রেখেছেন। তাই ইছামতি নদীর সীমনাও সিএস রেকর্ড অনুযায়ী নির্ধারিত হবে।

বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার স্থিতিবস্থার আবেদন খারিজ করে রায়ে এই পর্যবেক্ষণ দেন। এর ফলে ইছামতি নদীর তীরবর্তী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে আর কোনো বাধা রইল না।

আদালতে রিটকারী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পীস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ এবং নদী কমিশনের পক্ষে আইনজীবী এন. এম আহসানুল হক। অন্যদিকে দখলকারীদের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার অনিক আর হক।

পরে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, পাবনার ইছামতি নদীর তীরে ৪টি মৌজায় নদীর জমিতে থাকা স্থাপনাগুলো উচ্ছেদের জন্য জেলা প্রশাসন নোটিশ দিলে ৪৩ ব্যক্তি ২০২০ সালে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন। রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট নদী কমিশনকে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে স্থাপনা উচ্ছেদে স্থিতিবস্থা দেন। ওই আদেশের পর নদী কমিশনের পক্ষে নদী কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মজিবুর রহমান প্রশাসন ও সবার উপস্থিতিতে সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

প্রতিবেদনে ৪৩ ব্যক্তির দখলে থাকা জায়গাকে ইছামতী নদীর জায়গা হিসাবে মতামত দেন। তখন হাইকোর্টের দেওয়া স্থিতিবস্থার মেয়াদও শেষ হয়ে যায়। এ পর্যায়ে নদী কমিশনের প্রতিবেদনটি চ্যালেঞ্জ করে ৪৩ ব্যক্তি হাইকোর্টে আবার রিট করেন। রিটে ২০০৯ সালে সিএস রেকর্ড অনুযায়ী নদীর সীমনা নির্ধারণের বিষয়ে হাইকোর্টের রায় সংশোধনের নির্দেশনা চাওয়া হয়।

পরে ওই রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট অন্তবর্তীকালীন স্থিতিবস্থার আদেশ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে স্থিতিবস্থার আদেশ খারিজ করে সিএস জরিপ অনুযায়ী নদীর সীমানা নির্ধারণে রায় দেন। পাশাপাশি ঢাকার চার নদীর মামলায় রায় সংশোধনের কোনো সুযোগ নেই বলেও জানিয়েছেন।

আরকে//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি