জামিন নামঞ্জুর, সম্রাটকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ
প্রকাশিত : ১৪:২৪, ২৪ মে ২০২২
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এর আগে মঙ্গলবার (২৪ মে) দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে তিনি উপস্থিত হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন।
অপরদিকে দুদকের আইনজীবী তার জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে জামিন শুনানির জন্য আগামী ৯ জুন দিন ধার্য করেন আদালত।
এর আগে সোমবার (২৩ মে) সম্রাটের জামিন বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল রাখেন চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহীম। তারই পরিপেক্ষিতে মঙ্গলবার আত্মসমর্পণের জন্য আদালতে হাজির হয়ে জামিন চান সম্রাট।
আগামী ৩০ মে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
গত ১১ মে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা দুদকের মামলায় সম্রাটকে জামিন দেন। এরপর মঙ্গলবার (১৭ মে) সম্রাটের জামিন স্থগিত ও বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদনের ওপর শুনানি হয়। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজহারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ শুনানি শেষে ১৮ মে সম্রাটের জামিন বাতিল করেন। একই সঙ্গে তাকে ৭ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।
গত ১৬ মে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান হাইকোর্টের এ বেঞ্চে জামিন বাতিল চেয়ে আবেদন করেন।
গত ১১ মে পাসপোর্ট জমা রাখা, অসুস্থতা বিবেচনা, আদালতের অনুমতি ছাড়া বিদেশে না যাওয়ার শর্ত এবং প্রতিটি ধার্য তারিখে হাজিরার তিন শর্তে দুর্নীতির মামলায় জামিন পান ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট। ৩২ মাস কারাগারে থাকার পর ওইদিন বিকেল সাড়ে ৪টায় কারামুক্ত হন তিনি।
গ্রেফতারের পর কিছুদিন জেলে থাকলেও অসুস্থতার কারণে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন সম্রাট। জামিনে মুক্তির আদেশও আসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের প্রিজন সেলে।
শারীরিক অসুস্থতা বিবেচনায় এর আগেই অস্ত্র, মাদক এবং অর্থপাচার মামলায় জামিন পান সম্রাট। মুক্তিতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় দুদকের এক মামলা। ওই মামলাতেও একবার জামিন চেয়ে ব্যর্থ হন তিনি। আবারও করা হয় জামিন আবেদন।
উল্লেখ্য, সারাদেশে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর সম্রাট ও তার সহযোগী তৎকালীন যুবলীগ নেতা এনামুল হক ওরফে আরমানকে কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ওই বছরের ১২ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে দুদকের করা মামলায় ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। পরের বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। অভিযোগপত্রে সম্রাটের বিরুদ্ধে ২২২ কোটি ৮৮ লাখ ৬২ হাজার ৪৯৩ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
এসএ/
আরও পড়ুন