হাই কোর্টে জামিন চেয়েছেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বরগুনার মিন্নি
প্রকাশিত : ১০:০০, ৩০ মে ২০২২ | আপডেট: ১২:৪৯, ৩০ মে ২০২২
বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় হাই কোর্টে জামিন আবেদন করেছেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে মিন্নির জামিন আবেদনের ওপর সোমবার শুনানি হতে পারে।
সোমবার (৩০ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অ্যাডভোকেট মো. শাহীনুজ্জামান। এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি খালাস চেয়ে আপিল করেন।
নিজের স্বামীকে খুনের পরিকল্পনার দায়ে ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে ফাঁসির আদেশ দেন বরগুনা জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান।
রায়ে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির মধ্যে মিন্নিসহ ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আদালত। এছাড়া মামলার অন্য চার আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। এরপর ওই বছরের ২৯ অক্টোবর বরগুনা জেলা কারাগার থেকে মিন্নিকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মো. রাকিবুল হাসান রিফাত ওরফে রিফাত ফরাজী, আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বী আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজোয়ান আলী খাঁন হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান ও আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি।
খালাস পেয়েছেন মো. মুসা (পলাতক), রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর ও কামরুল ইসলাম সাইমুন।
২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনের সড়কে রিফাত শরীফকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম করে নয়ন বন্ডের গড়া কিশোর গ্যাং ‘বন্ড বাহিনী’। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন রিফাতের স্ত্রী মিন্নিও।
গুরুতর অবস্থায় রিফাতকে প্রথমে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিফাত মারা যান।
এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
হত্যাকাণ্ডের ২০ দিন পর একই বছরের ১৬ জুলাই মিন্নিকে তার বাবার বাসা থেকে বরগুনা পুলিশ লাইনে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ হত্যায় তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে মনে হওয়ায় ওইদিন রাতেই মিন্নিকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
পরে একই বছরের ২৯ আগস্ট হাইকোর্ট মিন্নিকে জামিন দেয়। এরপর একই বছরের ১ সেপ্টেম্বর রিফাত হত্যা মামলায় ২৪ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোপত্র দাখিল করে পুলিশ। এর মধ্যে ১০ জন প্রাপ্তবয়স্ক এবং ১৪ জনকে অপ্রাপ্তবয়স্ক অভিযুক্ত করা হয়।
২০২০ সালের ১ জানুয়ারি প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। পরে সাক্ষ্যগ্রহণ, যুক্তিতর্ক শেষে ৩০ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে ছয়জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড, চারজনকে পাঁচ বছর এবং একজনকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন। বাকি তিনজনকে খালাস দেয়া হয়।
এএইচ
আরও পড়ুন