ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

ওসি প্রদীপ ও স্ত্রীর আদালতে নির্দোষ দাবি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:১৭, ৬ জুন ২০২২

Ekushey Television Ltd.

প্রায় ৪ কোটি টাকার দুর্নীতি মামলায় ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারনের বিরুদ্ধে ৩৪২ ধারায় আসামি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। প্রদীপ ও তার স্ত্রীর পক্ষে সাফাই সাক্ষী দিতে তিন জনের নাম আদালতে জমা দিয়েছেন প্রদীপ। 

রোববার চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আবদুল মজিদের আদালতে এসব শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আগামী ১৩ জুন সাফাই সাক্ষ্য গ্রহনের দিন ধার্য করেছে আদালত। তখন প্রদীপ ও চুমকি আদালতে হাজির ছিলেন।

সাফাই সাক্ষীরা হলেন, বোয়ালখালী উপজেলার সারোয়াতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. বেলাল হোসেন, মেম্বার আবদুল জলিল ও মেম্বার অনুকুল চৌধুরী।

দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক মাহমুদ বলেন, ‘‘দুর্নীতি মামলার আসামি ওসি প্রদীপ ও স্ত্রী চুমকি কারনকে ৩৪২ ধারায় আসামি পরীক্ষা করা হয়েছে। আসামিরা আদালতে জবানবন্দি দিয়ে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন। আদালতে তিন জন সাফাই সাক্ষীর নাম জমা দিয়েছেন তারা। আগামী ১৩ জুন সাফাই সাক্ষী নেওয়ার দিন ধার্য করেছে আদালত।’’

দুদক চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রাম নগরের পাথরঘাটায় ছয়তলা বাড়ি, ষোলশহরের বাড়ি, ৪৫ ভরি সোনা, একটি করে কার ও মাইক্রোবাস, ব্যাংক হিসাব এবং কপবাজারের একটি ফ্ল্যাটের মালিক প্রদীপের স্ত্রী চুমকি কারন। 

তার ৪ কোটি ৮০ লাখ ৬৪ হাজার ৬৫১ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের বিপরীতে বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় ২ কোটি ৪৪ লাখ ৬৬ হাজার ২৩৪ টাকার। তার ২ কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের সত্যতা পায় দুদক। 

এছাড়া চুমকি নিজেকে মৎস্য ব্যবসায়ী দাবি করলেও এর কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। 

প্রদীপের ঘুষ, দুর্নীতির টাকায় তার স্ত্রী কোটিপতি হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৫ হাজার ৬৩৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভুত সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গোপন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ রয়েছে।

২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকি কারনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা চার্জ গঠন করে আদালত। 

এমএম/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি