বাবুল আক্তারের দুই সন্তানের জবানবন্দি নেয়ার নির্দেশ
প্রকাশিত : ১৬:৪৩, ৮ জুন ২০২২
সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম হত্যা মামলায় শিশু আইন মেনে তাদের দুই সন্তানের জবানবন্দি গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
শিশুদের দাদা ও চাচার করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (৮ জুন) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদেশে বলা হয়, শিশু আইনের বিধান অনুসরণ করে মাগুরা জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, একজন নারী পুলিশ সদস্য এবং শিশুদের দাদা উপস্থিত থাকবেন। এক্ষেত্রে গড়িমসি করা যাবে না।
কোন ক্রমেই শিশুদের উপর মানসিক চাপ যেন না পড়ে সে বিষয়ে দৃষ্টি রাখতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
৬ বছর আগের মামলা এখনও তদন্ত শেষ না হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করে হাইকোর্ট। ২৬ জুলাই প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন।
গত ১৬ মার্চ দুই সন্তানকে শিশু আইন মেনে সতর্কতার সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নির্দেশ দেয় চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ। এই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট আবেদন (রিভিশন) করেন বাবুলের বাবা আবদুল ওয়াদুদ ও বাবুলের ভাই হাবিবুর রহমান।
শিশুরা বর্তমানে মাগুরায় দাদার সঙ্গে থাকেন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে পাঁচলাইশ থানার ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার অদূরে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয় মিতুকে। এই ঘটনায় বাবুল আক্তার বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। কিন্তু মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন দাবি করে আসছিলেন, বাবুল আক্তারের পরিকল্পনায় ও নির্দেশে তার মেয়ে মিতুকে খুন করা হয়েছে।
মিতু হত্যার পরদিন ২০১৬ সালের ৬ জুন তার স্বামী বাবুল বাদী হয়ে নগরের পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। একই দিন বাবুলের শ্বশুর ও সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন পাঁচলাইশ থানায় আরেকটি হত্যা মামলা করেন। এই মামলায় বাবুল আক্তারসহ আটজনকে আসামি করা হয়।
মোশাররফ হোসেনের করা মামলায় পিবিআই চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিলে ২০২১ সালের ৬ মার্চ তা গ্রহণ করে আদালত। অন্যদিকে বাবুল আক্তারের করা মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালত গ্রহণ করেনি।
আদালতের নির্দেশে গত বছরের ৩ নভেম্বর থেকে মামলাটি তদন্ত করছে পিবিআই।
এএইচ
আরও পড়ুন