ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৪ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

পদ্মায় বুয়েট শিক্ষার্থী সানির মৃত্যু, ১৫ বন্ধু রিমান্ডে

দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৯:১৭, ১৭ জুলাই ২০২২

Ekushey Television Ltd.

ঢাকার দোহার উপজেলায় পর্যটন স্পট মৈনটঘাটে পদ্মা নদীতে ডুবে বুয়েট শিক্ষার্থী তারিকুজ্জামান সানির মৃত্যুর ঘটনায় সফরসঙ্গী ১৫ বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

শনিবার ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম কাজী আশরাফ উজ্জামান হত্যা মামলার আসামিদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আনোয়ারুল কবীর বাবুল জানান। 

এর আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দোহার থানার কুতুবপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির এসআই শামছুল আলম প্রত্যেকের সাতদিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন। অন্যদিকে রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। 

শুনানি শেষে প্রত্যেকের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।

রিমান্ড আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, তারিকুজ্জামান সানি সাঁতার জানতেন না। বৃহস্পতিবার সানিকে কৌশলে আসামিরা পদ্মা নদীর মৈনটঘাটে ঘুরতে নিয়ে যায়। আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে সানিকে পদ্মা নদীর পানিতে ফেলে হত্যা করে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আসামিরা হলেন- শরীফুল হোসেন, শাকিল আহম্মেদ, সেজান আহম্মেদ, মো. রুবেল, মো. সজীব, মো. নুরুজ্জামান, মো. নাসির, মো. মারুফ, মো. আশরাফুল আলম, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন, মো. নোমান, মো. জাহিদ, এ টি এম শাহরিয়ার মোমিন, মো. মারুফুল হক ও রোকনুজ্জামান ওরফে জিতু।

জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে ১৬ জনের একটি দল আটটি মোটরসাইকেলযোগে মৈনটঘাটে ঘুরতে আসে। রাতে ঘাটের তীরে পদ্মা নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয় সানী। এ সময় তার বন্ধুরা উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে ৯৯৯-এ কল দিয়ে পুলিশকে জানায়। 

পুলিশ এসে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। প্রায় ১৫ ঘণ্টা পর শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলের পাশ থেকে সানির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি