ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৪ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

শিক্ষক লাঞ্ছিতের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:৫১, ১৮ জুলাই ২০২২

Ekushey Television Ltd.

নড়াইলে শিক্ষক লাঞ্ছিতের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

পুলিশের উপস্থিতিতে শিক্ষকের গলায় জুতার মালা পরানোর ঘটনায় রিট শুনানি শেষে আজ সোমবার এ আদেশ দেন বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর নেতৃত্বে হাইকোর্ট বেঞ্চ। 

নড়াইলের কলেজ শিক্ষক স্বপন কুমার বিশ্বাসের গলায় জুতার মালা পরানোর ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে রিট দায়ের করেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষে অ্যাডভোকেট পূর্ণিমা জাহান।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না, ব্যারিস্টার অনিক আর হক ও অ্যাডভোকেট মো. শাহিনুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান দাউদ ও ফারজানা শম্পা।

এর আগে এই ঘটনা তদন্তের দাবি জানালে রিট আবেদন করতে বলেন হাইকোর্ট।

উল্লেখ্য, ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সাময়িক বহিষ্কৃত মুখপাত্র নূপুর শর্মার ছবি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নড়াইল সদরের এক কলেজছাত্রের পোস্টকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে গত ১৮ জুন কলেজের অধ্যক্ষের গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেওয়া হয়। 

স্থানীয় ব্যক্তিদের ভাষ্য, নড়াইল সদরের মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের ওই ছাত্র ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার পরদিন কলেজে গেলে কিছু মুসলমান ছাত্র তাকে ওই পোস্ট মুছে ফেলতে বলেন। ওই সময় অধ্যক্ষ ওই ছাত্রের ‘পক্ষ নিয়েছেন’ এমন রটনা ছড়িয়ে পড়লে সেখানে উত্তেজনা তৈরি হয়। 

এ সময় উত্তেজিত ছাত্ররা অধ্যক্ষ ও দুজন শিক্ষকের মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে স্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে তাদেরও সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে কলেজের কিছু ছাত্র ও স্থানীয় ব্যক্তিরা পুলিশের উপস্থিতিতে স্বপন কুমার বিশ্বাসের গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেন।

এ ঘটনার ছবি ছড়িয়ে পড়লে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি