অর্থ পাচারকারীদের তথ্য চেয়ে সুইস ব্যাংকে তিনবার চিঠি
প্রকাশিত : ১২:১৭, ১৪ আগস্ট ২০২২ | আপডেট: ১২:১৮, ১৪ আগস্ট ২০২২
সুইস ব্যাংকের কাছে অর্থ পাচারকারীদের তথ্য চেয়ে তিন বার চিঠি দেওয়া হয়েছিল। দুই বার সাড়া দেয়নি তারা, একবার বলেছে তথ্য জানা নেই। আর সুইচ ব্যাংকে থাকা বাংলাদেশের ৬৭ জনের তথ্য চাওয়া হলে এ পর্যন্ত একজনের তথ্য পাওয়া গেছে বলে হাইকোর্টকে জানিয়েছে বাংলাদেশ ফাইনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
রোববার বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের দ্বৈত বেঞ্চে এ তথ্য দেন দুদকের আইনজীবী।
গত বৃহস্পতিবার সুইস ব্যাংকে অবৈধভাবে বাংলাদেশীরা যেসব অর্থ জমা রেখেছেন বা পাচার হয়েছে এ বিষয়ে সরকার বা দুদক কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে কিনা তা রোববারের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
হাইকোর্ট সংবাদের রেফারেন্স টেনে কি পরিমাণ অর্থ সুইস ব্যাংকে পাচার হয়েছে এবং এ বিষয়ে সরকার ও দুদক কি পদক্ষেপ নিয়েছে তা জানানোর নির্দেশ দেয়। রোববারের মধ্যে বিষয়টি অবহিত করলে আদালত এ বিষয়ে আদেশ দেবে।
এর আগে বুধবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাতালি চুয়ার্ড বলেন, সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশের নাগরিকদের জমা করা অর্থের বেশির ভাগ অবৈধপথে আয় করা হয়েছে এ ধরনের অভিযোগ রয়েছে। তবে বাংলাদেশ সরকার এখন পর্যন্ত সুইস ব্যাংক বা কর্তৃপক্ষের কাছে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য চায়নি।
পরে গত ১১ আগস্ট বিষয়টি নজরে নিয়ে সুইস ব্যাংকে অর্থ জমাকারীদের তথ্য কেন জানতে চাওয়া হয়নি তা রাষ্ট্রপক্ষ ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে জানাতে বলে হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।
এএইচ
আরও পড়ুন