জাহালমকে ৭ দিনের মধ্যে ৫ লাখ টাকা দেওয়ার নির্দেশ
প্রকাশিত : ১৬:০৪, ২৯ আগস্ট ২০২২
বিনা দোষে কারাভোগকারী জাহালমকে ক্ষতিপূরণ বাবদ আগামী সাত দিনের মধ্যে পাঁচ লাখ টাকা দিতে নির্দেশ দিয়েছে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার আদালত সোমবার (২৯ আগস্ট) এ আদেশ দেয়।
আগামী সাত দিনের মধ্যে ব্র্যাক ব্যাংককে এ টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য আগামী ৩১ অক্টোবর দিন ঠিক করে দিয়েছে আদালত।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন মো. আসাদুজ্জামান।
জাহালমকে ১৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়ে গত ৭ আগস্ট হাইকোর্টের রায় প্রকাশ করা হয়। ৮৮ পৃষ্ঠার রায়ে জাহালমের ঘটনার জন্য দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা, সোনালী ব্যাংক এবং ব্র্যাক ব্রাংকের সমালোচনা করে উচ্চ আদালত।
রায়ের অনুলিপি পাওয়ার এক মাসের মধ্যে ১৫ লাখ টাকা পরিশোধ করতে ব্র্যাক ব্যাংককে বলা হয়। টাকা পরিশোধ করে এক সপ্তাহ পর রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে প্রতিবেদন দিতে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
পরে এ রায়ের বিরদ্ধে আপিল আবেদন করে ব্র্যাক ব্যাংক। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত আদেশ দেয়।
তিন বছর আগে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে একটি জাতীয় দৈনিকে ‘স্যার, আমি জাহালম, সালেক না...’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অমিত দাশগুপ্ত। পরে আদালত এ ঘটনায় জাহালমকে দ্রুত মুক্তির নির্দেশ দেয়।
এরপর ফের তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়। সে সময় বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণা করে। এ সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয় ৭ আগস্ট।
২০১৯ সালের জানুয়ারিতে জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন আইনজীবী ও বর্তমান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারের অমিত দাশগুপ্ত।
তখন বিষয়টি আমলে নিয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তা, মামলার বাদীসহ চারজনকে তলব করে হাইকোর্ট। পাশাপাশি জাহালমকে কেন মুক্তির নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করে আদালত।
ওই রুলের শুনানি নিয়ে ওই বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট জাহালমকে মুক্তির নির্দেশ দেয় এবং দুদকের কাছে ঘটনার বিষয়ে হলফনামা আকারে জানতে চায়। সে আদেশ অনুসারে দুদক হলফনামা আকারে তা উপস্থাপন করে।
পরে জাহালম প্রশ্নে ব্যাংক ঋণ জালিয়াতির ৩৩ মামলার এফআইআর, চার্জশিট, সম্পূরক চার্জশিট এবং সব ব্যাংকের এ সংক্রান্ত নথিপত্র জমা দিতে দুদককে নির্দেশ দেয়।
এর ধারাবাহিকতায় হাইকোর্ট ২০২০ সালের ১৭ এপ্রিল জাহালমকাণ্ডে কে বা কারা দায়ী তা দেখার জন্য এ বিষয়ে দুদকের প্রতিবেদন চায়। পরবর্তী সময়ে এসব মামলায় দুদক, ব্র্যাক ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়া হয়।
২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ওই রুলের ওপর শুনানি হয়। পরে একই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।
এএইচএস
আরও পড়ুন