১২ বছরেও মেলেনি সন্তানের পিতৃ পরিচয়, আদালতে ঘুরছেন রুমা (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৩:২১, ১ সেপ্টেম্বর ২০২২
আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও ১২ বছরেও হয়নি বিয়ে প্রতারণা মামলায় ডিএনএ টেস্ট। উল্টো উচ্চ আদালত থেকে আইনি ব্যত্যয় ঘটিয়ে রুল পেয়ে যায় আসামি। যশোরের কেশবপুরের নাবালিকা ভুক্তভোগির মেয়ের বয়স এখন ১২ বছর। সন্তানের পিতৃ পরিচয় পাইয়ে দিতে উচ্চ আদালতে ঘুরছেন রুমা আক্তার।
যশোরের কেশবপুরের ১৩ বছরের নাবালিকা রুমা আক্তার গাইন। রাকিব হোসেন রাসেল সিনেমাটিক স্টাইলে কাগজে সই করে নকল বিয়ে করে রুমা আক্তারকে। এক সময় রুমার কোল জুড়ে আসে কন্যা সন্তান। এরপর সবকিছুরই অস্বীকার করে রাসেল ও তার পরিবার। ২০০৯ সালে মামলা করে রুমা।
রুমার মেয়ের বয়স এখন ১২। মেয়ে ও নাতনির দেখাশুনা করছেন ভ্যানচালক নানা। অভাবের সংসারে নাতনীকে পিতৃ পরিচয় পাইয়ে দিতে ২০০৯ থেকে ঘুরছেন এক আদালত থেকে অন্য আদালতে।
রুমার বাবা সুলতান গাইন বলেন, “আমি অত্যন্ত গরীব মানুষ, ভিটে বাড়িও নেই। আমি এর সঠিক বিচার চাই।”
২০০৯ সালে যশোরের আদালত ডিএন এ টেস্ট করতে নির্দেশ দেয়। এ আদেশের বিরুদ্ধে আসামি ও সংশ্লিষ্ট আইনজীবী হাইকোর্টের একক বেঞ্চ থেকে রুল নিয়ে যায়। একক বেঞ্চে থেকে রুল নেওয়া আইনবিরোধী বলছেন রুমার আইনজীবী।
রুমার আইনজীবী জিয়াউর রহমান বলেন, “ডিএনএ টেস্ট করার জন্য যশোরের সাভিল সার্জনকে আদেশ দেয় এবং রিপোর্ট প্রদানের জন্য। যেহেতু মামলাটি পেন্ডিং আছে তাই ডিভিশন বেঞ্চে যেতে হয়। তারা সিঙ্গেল বেঞ্চে গেলে হাইকোর্টের রুল ইস্যু হয়েছে, কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।”
আইনী কোন বাধা না থাকলেও সেই ডিএনএ টেস্ট আদেশ পালন করা হয়নি গত ১২ বছরেও। এজন্য দায়ী কারা, এমন প্রশ্ন ছিল আইনজীবীর কাছে।
আইনজীবী জিয়াউর রহমান বলেন, “ডিএনএ টেস্টের বৈধ একটা বিষয় যে অর্ডার হয়েছিল সেটি বন্ধ করে রাখা হয়েছে। আমরা চাই, শুনানির পর এই আদেশটা বহাল রেখে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে পিতৃত্ব নির্ধারণ এবং ট্রায়াল কোর্ট তাকে যে সাজাটা দিয়েছে ওইটাসহ সব নিশ্চিত করা হবে।”
উচ্চ আদালতে রুমার বাবা সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে আবেদন করেন। তবে নানা কারণে ৭ বছর পেরিয়ে যায়। সম্প্রতি শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেছে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ।
এএইচ
আরও পড়ুন