অর্থ আত্মসাত: মুঠোফোন কর্মকর্তাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
প্রকাশিত : ২২:০৫, ৯ জানুয়ারি ২০২৩
প্রতারণা ও ফ্ল্যাট ক্রয়ের নামে ৭৫ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় সাবেক মুঠোফোন কর্মকর্তা এএসএম আশরাফসহ তিন আসামীর বিরুদ্ধে ফৌজদারী কার্যবিধির ৪০৬/৪২০ ধারায় অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।
মামলার অপর দুই আসামি হলো- আশরাফের চাচা ফিরোজ রায়হান ও খালাতো ভাই মো. রাফেউজ্জামান।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নামঞ্জুর করে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসাদুজ্জামান নূর এ আদেশ দেন।
এর আগে ২০২১ সালের ১৬ নভেম্বর প্রতারণার অভিযোগে আশরাফসহ তিনজনকে আসামি করে নালিশি মামলাটি দায়ের করেন এক ভুক্তভোগী নারী। মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামি এএসএম আশরাফ প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ঢাকার মিরপুরে ফ্ল্যাট কেনার নামে ভুক্তভোগীর থেকে বিভিন্ন সময়ে ৭৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।
আশরাফের চাচা ফিরোজ রায়হান ও খালাতো ভাই মো. রাফেউজ্জামানের সহযোগীতায় ওই টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে ফ্ল্যাটের কাগজপত্র চাওয়া হলে এবং ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রির জন্য চাপ দেওয়া হলে আসামি সবরকমের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। তবে বিভিন্ন নাম্বার থেকে ভয়ভীতি-হুমকি দেখাতে থাকে।
নালিশি মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে দায়িত্ব দেন আদালত। পিবিআই‘র কল্যাণপুর শাখার এসআই সোহেল রানা তদন্ত শেষে মামলায় আনীত অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে আসামিদের অব্যাহতি দিতে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন (ফাইনাল রিপোর্ট) দাখিল করেন। তবে ভুক্তভোগী নারী নারাজি দাখিল করায় আদালত মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন।
বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, পিবিআই’র তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সোহেল রানা মিথ্যা তথ্য দিয়ে মনগড়া ও বানোয়াট তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। ২০২২ সালের ২৭ অক্টোম্বর আদালতে হাজির হয়ে আসামিরা জামিন নেন। পরে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য আদালত দিন নির্ধারণ করেন।
জানা গেছে, উপরোক্ত মামলার প্রধান আসামি আশরাফের বিরুদ্ধে আইনবহির্ভূতভাবে ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে একই নারীর সঙ্গে আড়াই বছর সংসার করার অভিযোগে আরেকটি মামলা হয়। পিবিআই’র তদন্তে আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। আসামির বিরুদ্ধে একই আদালতে মামলাটি চার্জগঠনের জন্য আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য্য রয়েছে।
এসি
আরও পড়ুন