অপ্রতিরোধ্য হিরো আলমকে আটকাতে পারলোনা কেউ
প্রকাশিত : ১৩:১৯, ১৭ জানুয়ারি ২০২৩
অবশেষে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপ-নির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম।
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) এ বিষয়ে এক রিট আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি মোহাম্মাদ খসরুজ্জামান ও বিচারপতি ইকবাল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এর মধ্য দিয়ে অপ্রতিরোধ্য হিরো আলমেরই জয় হলো।
আদালতে হিরো আলমের পক্ষে শুনানি করেন ইয়াররুল ইসলাম।
রিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), নির্বাচন কমিশনের সচিব, জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ চারজনকে বিবাদী করা হয়েছে।
এর আগে বগুড়া-৪ ও ৬ আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। গত ৮ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে দুপুর ১টার দিকে এই ঘোষণা দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম। এরপর তিনি মনোনয়ন গ্রহণ ও বাতিল-সংক্রান্ত বিষয়ে গত ১০ জানুয়ারি আপিল করেন নির্বাচন কমিশনের আপিল বোর্ডে। সেই আবেদনটিও গত বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) আপিলটি খারিজ করে দেওয়া হয়।
গত ৮ জানুয়ারি হলফনামায় গড়মিল পাওয়ায় স্বতন্ত্রপ্রার্থী মো. আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন বগুড়া জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, “আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের ১ শতাংশ ভোটার তালিকায় গড়মিল পাওয়া গেছে। সেখানে কয়েকজন ভোটারের সমর্থন না পাওয়ায় মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।”
মনোনয়নপত্র বাতিল প্রসঙ্গে হিরো আলম বলেন, “আমি আগের বার যে ভুল করেছি সে ভুলটা এবার করিনি। তবুও আমার দুটো আসনেই মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।”
একাদশ জাতীয় নির্বাচনেও আলোচিত হিরো আলম বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী (সিংহ মার্কা) হয়েছিলেন। ওইসময় তিনি ৬৩৮ ভোট ভোট পান। এতে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। তবে ভোটের মাঝমাঠে গিয়ে অবশ্য তিনি নির্বাচন বর্জন করেন।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের প্রথম দিনেই হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। আপিল করলে নির্বাচন কমিশন শুনানির পর তা বাতিল করে। পরে উচ্চ আদালতে তার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়। পরে তৎকালীন বগুড়ার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের হাতে পছন্দের ‘সিংহ’ প্রতীক তুলে দেন।
বগুড়া সদরের এরুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা হিরো আলম শৈশবে চানাচুর বিক্রি করতেন। পরে তিনি সিডি বিক্রি এবং ডিশ সংযোগের ব্যবসা করেন। নিজেই মিউজিক ভিডিও তৈরি করে ডিশ লাইনে সম্প্রচার শুরু করেন। এভাবে হিরো আলমের তৈরি মিউজিক ভিডিও এবং ইউটিউব সিনেমা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আলোচনায় আসেন।
এসএ/
আরও পড়ুন