ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আওয়ামীপন্থিদের জয়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:১৪, ১৭ মার্চ ২০২৩

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে (২০২৩-২৪) সভাপতি ও সম্পাদকসহ ১৪টি পদের সবকটিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবীদের প্যানেল (সাদা প্যানেল) বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) রাতে ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, সভাপতি ও সম্পাদক পদে পুননির্বাচিত হয়েছেন যথাক্রমে মোমতাজ উদ্দিন ফকির ও মো. আবদুন নূর।

ঘোষিত ফলাফল অনুসারে, সাদা প্যানেলের প্রার্থী মোমতাজ উদ্দিন ফকির তিন হাজার ৭২৫ ভোট পেয়ে সভাপতি হিসেবে পুননির্বাচিত হয়েছেন। সভাপতি পদে নীল প্যানেলের (বিএনপিপন্থি) প্রার্থী মাহবুব উদ্দিন খোকন ২৯৩ ভোট পেয়েছেন।

সাধারণ সম্পাদক পদে সাদা প্যানেলের প্রার্থী মো. আবদুন নূর তিন হাজার ৭৪১ ভোট পেয়ে পুর্ননির্বাচিত হয়েছেন। এই পদে নীল প্যানেলের প্রার্থী মো. রুহুল কুদ্দুস ৩০৯ ভোট পেয়েছেন।

সহসভাপতির দুটি পদে সাদা প্যানেল থেকে মো. আলী আজম ও জেসমিন সুলতানা জয়ী হয়েছেন। কোষাধ্যক্ষ পদে একই প্যানেলের এম. মাসুদ আলম চৌধুরী জয়ী হয়েছেন। সহসম্পাদক হিসেবে জয় পেয়েছেন এ বি এম নূর-এ-আলম ও মোহাম্মদ হারুন-উর রশিদ।

সদস্য সাতটি পদে সাদা প্যানেল থেকে জয়ী হয়েছেন, মহিউদ্দিন আহমেদ (রুদ্র), মনিরুজ্জামান রানা, শফিক রায়হান শাওন, মো. সাফায়েত হোসেন (সজীব), মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. নাজমুল হুদা ও সুভাষ চন্দ্র দাস।

হট্টগোল, ধাওয়া পালটা ধাওয়ার মধ্যদিয়ে সমিতির এবারের নির্বাচনে বুধবার ও বৃহস্পতিবার ভোট গ্রহণ হয়। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের ভোট গ্রহণ শেষে রাত দেড়টার পর সমিতির দক্ষিণ হলে ফলাফল ঘোষণা শুরু করেন নির্বাচন পরিচালনা সংক্রান্ত উপকমিটির আহ্বায়ক মো. মনিরুজ্জামান ফলাফল ঘোষণা করেন।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন ঘিরে ‘পুলিশের ওপর হামলা’ ও ভোটকেন্দ্রে ভাঙচুরের অভিযোগে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) পুলিশ বাদী হয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ মামলা করে। এতে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকন, অ্যাড. রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৩৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

বুধবার (১৫ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় পুলিশের মারধরের শিকার হন অন্তত ১০ সাংবাদিক। পুলিশ তাদেরকে লাথি দিয়েছে ও লাঠিপেটা করেছে বলে অভিযোগ। ঘটনার ভিডিও ধারণ করায় কয়েকজন সাংবাদিকের মুঠোফোনও কেড়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে পুলিশের করা মামলায় সাংবাদিকদের মারধর করার কোনো তথ্য নেই।

এমএম/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি