উপজেলা চেয়ারম্যানের ওপর ইউএনও’র একচ্ছত্র ক্ষমতা কর্তন
প্রকাশিত : ১৫:৪০, ২৯ মার্চ ২০২৩ | আপডেট: ১৫:৪৩, ২৯ মার্চ ২০২৩
উপজেলা পরিষদ আইনের ৩৩ ধারা বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। এর ফলে উপজেলা চেয়ারম্যানদের ওপর ইউএনওদের একচ্ছত্র কর্তৃত্ব থাকলো না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। এখন থেকে উপজেলা পরিষদে ইউএনওরা সাচিবিক সহায়তা দেবেন।
বুধবার (২৯ মার্চ) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
২০২০ সালে উপজেলা চেয়ারম্যানদের ক্ষমতা খর্ব করে ইউএনওদের ক্ষমতা দেয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ৭ ডিসেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হারুন-অর-রশিদসহ ৩ জন। পরে হাইকোর্ট ৩৩ ধারা কেন অবৈধ হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।
আইনের ৩৩ (১) ধারায় বলা হয়েছে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হবেন এবং তিনি পরিষদকে সাচিবিক সহায়তা দেবেন। পরিষদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন, আর্থিক শৃংখলা প্রতিপালন এবং বিধি মাধ্যমে নির্ধারিত অন্যান্য কার্যাবলী পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা সম্পাদন করবেন।
সেই রুলের চূড়ান্ত শুনানী শেষে ৩৩ ধারা অবৈধ বলে রায় দেয় হাইকোর্ট। উপজেলা পরিষদে একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি থাকা সত্ত্বেও একজন নির্বাহী কর্মকর্তাকে বেশি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এটা সাংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে রায়ে বলা হয়।
বিভিন্ন আমন্ত্রণপত্রে উপজেলা পরিষদ না লিখে উপজেলা প্রশাসন লেখার সিদ্ধান্তকেও অবৈধ ঘোষণা করেছেন আদালত। তবে সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত উপজেলার বিভিন্ন কমিটিতে ইউএনওকে সভাপতি এবং উপজেলা চেয়ারম্যানকে উপদেষ্টা করা সংক্রান্ত পরিপত্রের বিষয়ে কোন আদেশ দেয়া হয়নি।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় উল্লেখ থাকে ইউএনও ইচ্ছে করলেই আরও সদস্য অন্তর্ভূক্ত করতে পারবেন। যা সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক ও স্থানীয় সরকার পদ্ধতির চেতনার পরিপন্থী বলেও রায়ে বলা হয়।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি, ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী।
এএইচ
আরও পড়ুন