ইউএনওদের ক্ষমতা খর্ব করে দেয়া হাইকোর্টের রায় স্থগিত
প্রকাশিত : ১৯:২৮, ৫ এপ্রিল ২০২৩
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) ক্ষমতা কমিয়ে হাইকোর্টের দেয়া রায় স্থগিত করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম আগামী ৫ জুন পর্যন্ত হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেন। আবেদনের পক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী।
এর আগে গত ২৯ মার্চ উপজেলা চেয়ারম্যানদের পৃথক তিনটি রিটে জারি করা রুল আংশিক মঞ্জুর করে রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার ক্ষমতা দিয়ে প্রণীত উপজেলা পরিষদ আইনের ৩৩ ধারাকে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হয়।
রিট আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম ওই রায়ের পর সাংবাদিকদের বলেন, ৩৩ ধারায় ইউএনওদের একচ্ছত্র ক্ষমতা দেয়া ছিল। হাইকোর্ট এটা বাতিল করেছেন। এর ফলে উপজেলায় ইউএনওদের ক্ষমতা কমল। ইউএনওকে উপজেলা পরিষদের অধীনে কাজ করতে হবে। চিঠিপত্রে উপজেলা প্রশাসন ব্যবহার করে। এখন থেকে উপজেলা পরিষদ ব্যবহার করতে হবে।
আজিম বলেন, ইউএনও সাচিবিক দায়িত্ব পালন করলেও তিনি উপজেলা পরিষদের কাছে জবাবদিহির মধ্যে থাকবেন। ২০১০ সালে ১৭টি বিভাগ হস্তান্তরিত হয়েছিল তার মধ্যে উপজেলা পরিষদও হস্তান্তরিত হয়। ইউএনওর হস্তান্তরিত দায়িত্ব পালনের জন্য চার্টার অব ডিউটিজ আছে। তাঁরা এগুলো করবেন।
উপজেলা পরিষদের আইনের ৩৩ ধারায় বলা হয়েছে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হবেন এবং তিনি পরিষদকে সাচিবিক সহায়তা প্রদান করবেন। পরিষদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন, আর্থিক শৃঙ্খলা প্রতিপালন এবং বিধি দ্বারা নির্ধারিত অন্যান্য কার্যাবলি পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা সম্পাদন করবেন।
উপজেলা চেয়ারম্যানদের ক্ষমতা খর্ব করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের ক্ষমতা দেয়ার বৈধতা নিয়ে ২০২১ সালে হাইকোর্টে পৃথক রিট করা হয়। পরে উপজেলা পরিষদ আইন, ১৯৯৮-এর ধারা ১৩ (ক), (খ) ও (গ) কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। এ ছাড়া উপজেলা পরিষদ আইনের ৩৩ ধারা কেন বাতিল করা হবে না, এই মর্মেও রুল জারি করা হয়। শুনানি শেষে রুল নিষ্পত্তি করে রায় দেন হাইকোর্ট।
এমএম/
আরও পড়ুন