হিরো আলমের ওপর হামলা: রাজিব-আল আমিন ৩ দিনের রিমান্ডে
প্রকাশিত : ২১:০৯, ২০ জুলাই ২০২৩ | আপডেট: ২২:১২, ২০ জুলাই ২০২৩
ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে ভোট গ্রহণের দিনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় মুলহোতা মানিক রাজিব ও আল আমিনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের বিরুদ্ধে সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার উপ-পরিদর্শক নুরে উদ্দিন। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিট ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হক তাদের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এরআগে মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) আসামি ছানোয়ার কাজী (২৮) ও বিপ্লব হোসেনের (৩১) ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
একই সময় মামলার অপর পাঁচ আসামিকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। অন্যদিকে তাদের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন, মাহমুদুল হাসান, মুজাহিদ খান, আশিক সরকার, হৃদয় শেখ ও সোহেল মোল্লা।
হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় রাজধানীর বনানী থানায় এ মামলা করেন হিরো আলমের ব্যক্তিগত সহকারি সুজন রহমান শুভ। মামলায় অজ্ঞাত আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়।
এজাহারে অভিযোগ করা হয়, ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হলে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল হোসেন আলম এবং তার ব্যক্তিগত সহকারি পরান সরকারসহ প্রতিনিধি রাজীব খন্দকার, মো. রনি, মো. আল-আমিনসহ অনেকে বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করতে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় হিরো আলমসহ প্রতিনিধিরা বিকেল সাড়ে ৩টায় বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনে যান। হিরো আলমসহ তারা পাঁচ-ছয়জন বনানী বিদ্যানিকেতন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার সময় অজ্ঞাতনামা ১৫ থেকে ২০ জন বেআইনিভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে তাদের গতিরোধ করে বিভিন্ন ধরনের গালিগালাজ করতে থাকে।
একপর্যায়ে আসামিরা হত্যার উদ্দেশে হিরো আলমকে আক্রমণ করে এলোপাতাডড়ি কিলঘুসি মারতে থাকে। তাদের মধ্যে থেকে একজন হত্যার উদ্দেশে দু’হাতে হিরো আলমের কলার চেপে ধরে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে এবং অন্য একজন তার তলপেটে লাথি মারলে হিরো আলম রাস্তায় পড়ে যান।
তখন অন্য আসামিরা হিরো আলমকে এলোপাতাড়ি কিলঘুসি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম এবং টানাহেঁচড়া করে। ওই সময়ে বাদি এবং অপর ব্যক্তিগত সহকারি পরান সরকার মিলে হিরো আলমকে হামলাকারীদের হাত থেকে রক্ষার জন্য এগিয়ে গেলে তারা বাদিসহ পরান সরকার, রাজীব খন্দকার, রনি ও আল-আমিনকে মারধর করে। এরপর কেন্দ্রে ডিউটিরত পুলিশ এবং একতারা প্রতীকের সমর্থনকারীদের সহায়তায় হিরো আলমসহ তারা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
সূত্র: বাসস
এসবি/
আরও পড়ুন