জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের রায় আপিল বিভাগে বহাল
প্রকাশিত : ১৩:৪২, ১৯ নভেম্বর ২০২৩
জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে দেয়া হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ফলে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধই থেকে গেরো বলে জানান রিটকারী আইনজীবী। জামায়াতের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ নিয়ে আদালত অবমাননার আবেদন শুনানির জন্য হাইকোর্টে যেতে বলেছেন আপিল বিভাগ।
রোববার (১৯ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৫ সদস্যর বেঞ্চ এ রায় দেন।
আজ সকালে আইনজীবীর হরতালে আসতে না পারার কারণ দেখিয়ে নিবন্ধনের আপিল শুনানিতে ৬ সপ্তাহ সময় চায় জামায়াত। কিন্তু তা আদালত গ্রহণ করেননি।
সর্বশেষ গত ৬ নভেম্বর আবেদনটি শুনানির জন্য ওঠে। পরে ১২ নভেম্বর এ বিষয়ে আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ। জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে গত রোববার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগের একই বেঞ্চ পরবর্তী শুনানির জন্য আজ ১৯ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।
রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন বাতিলের পর জামায়াতের সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে করা আবেদনের শুনানিও ১৯ নভেম্বর নির্ধারণ করেন আপিল বিভাগ।
১০ বছর আগে উচ্চ আদালতের রায়ে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষিত হয়। ঘোষিত ঐ রায়ের বিরুদ্ধে তখনই আপিল করে দলটি।
২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামীকে সাময়িক নিবন্ধন দেয়া হয়। পরের বছর বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ২৫ জন জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ রিট করেন।
২০১৩ সালের ১ আগস্ট সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ বলে রায় দেন বিচারপতি এম মোয়াজ্জাম হোসেন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল-হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বৃহত্তর (লার্জার) বেঞ্চ।
এএইচ
আরও পড়ুন