স্থায়ী জামিন পেলেন ড. ইউনূস
প্রকাশিত : ১১:৫৩, ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ | আপডেট: ১৩:৩৫, ২৮ জানুয়ারি ২০২৪
শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করার পর স্থায়ী জামিন পেয়েছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সাজা বাতিল ও দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে শ্রম অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালে আপিল, একই সঙ্গে জামিন চান তারা।
ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান এম এ আউয়াল শুনানী শেষে এ জামিন দেন। আপিল শুনানীর দিন ধার্য হয়েছে আগামী ৩ মার্চ।
গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ডক্টর ইউনূস ছাড়াও মামলার অপর আসামিরা হলেন প্রতিষ্ঠানটির এমডি আশরাফুল হাসান, পরিচালক নূরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।
আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের জামিন দেন শ্রম আপিলেট ট্রাইব্যুনাল।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. আবদুল্লা আল মামুন সংশ্লিষ্ট আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল আবেদন করেন। শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে ২৫ যুক্তি দেখান তিনি।
গত ১ জানুয়ারি শ্রম আইনের ৩০৩ (ঙ) ধারায় ড. ইউনূসের সর্বোচ্চ ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১০ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অন্যদিকে ৩০৭ ধারায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেন আদালত।
তবে ৩০ দিনের মধ্যে আপিলের শর্তে ৫ হাজার টাকা বন্ডে জামিন পান ইউনূসসহ ৪ জন। সেই সময়সীমার মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৩১ জানুয়ারি।
এর আগেই স্থায়ী জামিন পেলেন ড. ইউনূস।
ড. ইউনূসের আইনজীবীর ভাষ্য, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। কিন্তু প্রচার করা হচ্ছে মামলার বাদী শ্রমিকেরা। তার দাবি, রায়ের ক্ষেত্রেও সেটা ফ্যাক্টসের সঙ্গে ফাইন্ডিংসের মিল নেই। তাই খালাস চেয়ে আপিলে তুলে ধরা হবে ২৫ যুক্তি।
শ্রম ট্রাইব্যুনালে আপিল করার পর আইন অনুযায়ী নোটিশ যাবে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরে।
গ্রামীণ টেলিকমের ১০১ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করা, শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়ার অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ইউনূসসহ চার জনকে আসামি করেন।
গত ১ জানুয়ারি এই মামলায় চার জনকেকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা।
এএইচ
আরও পড়ুন