সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
প্রকাশিত : ১৬:০২, ১৮ আগস্ট ২০২৪
সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে দেওয়া রায় পরিবর্তনের জন্য প্রতারণা, জালিয়াতির অভিযোগে সাবেক প্রধান বিচারপতি ও সদ্য আইন কমিশন থেকে পদত্যাগ করা চেয়ারম্যান এ বি এম খায়রুল হকের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে।
রোববার (১৮ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আফরোজ বিথির আদালতে এ মামলার আবেদন করেন ইমরুল হাসান নামে একজন আইনজীবী।
এসময় আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে আদেশ পরে দেবেন বলে জানান।
মামলার আবেদনে বলা হয়, সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনের পর কয়েকটি নির্বাচন হয়। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনে গত সরকার ক্ষমতায় আসার পর হঠাৎ করেই পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেয়, যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়টি বিচার বিভাগের সামনে আনা হয়। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান অপ্রাসঙ্গিক ও অসাংবিধানিক বলেন। তার অবসরের ১৬ মাস পর রায় প্রকাশ করা হয়। এই রায় বাংলাদেশে এক কুৎসিত সংস্কৃতির জন্ম দিয়েছে।
আরও বলা হয়, খায়রুল হক শুধু সংবিধানের বিধানই লঙ্ঘন করেননি, বরং সব ঘৃণার বিষবৃক্ষ, দুর্নীতি ও বর্বরতা রোপণ করেন। সব প্রতিষ্ঠান ও প্রশাসনের মনোবল হ্রাস, বিচার বিভাগকে দুর্নীতিগ্রস্ত ও পক্ষপাতদুষ্টে পরিণত করেন।
এসব অভিযোগের গুরুত্ব বিবেচনা করে খায়রুল হকের বিরুদ্ধে নৈতিক দুর্নীতি, অসদাচরণ ও এর ফলে সাবেক সরকারের সুবিধাভোগী হিসেবে খায়রুল হকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
দেশের ১৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে ২০১০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর নিয়োগ পান খায়রুল হক। একই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে তার নিয়োগ কার্যকর হয়। পরের বছরের ১৭ মে তিনি অবসরে যান। ২০১৩ সালের ২৩ জুলাই খায়রুল হককে তিন বছরের জন্য আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
এই মেয়াদ শেষে কয়েক দফা কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে তাকে পুনর্নিয়োগ দেওয়া হয়। এক দশকের বেশি সময় দায়িত্ব পালনের পর গত সপ্তাহে তিনি কমিশনের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
এএইচ
আরও পড়ুন