ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

বাহুবলে ৪ শিশু হত্যায় তিন আসামির ফাঁসি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:১৪, ২৬ জুলাই ২০১৭ | আপডেট: ১৫:৫৩, ২৬ জুলাই ২০১৭

বাহুবলে ৪ শিশুকে হত্যার পর এখানেই মাটিচাপা দিয়ে রাখা হয়

বাহুবলে ৪ শিশুকে হত্যার পর এখানেই মাটিচাপা দিয়ে রাখা হয়

হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় শিশুকে হত্যার পর মাটিচাপা দেয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তিন আসামির ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। অপর দুই আসামিকে সাত বছরের কারাদণ্ড তিনজনকে খালাস দেয়া হয়েছে। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মকবুল আহসান রায় দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কিশোর কুমার কর গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ মামলার আসামিরা হলো- পঞ্চায়েত প্রধান আব্দুল আলী বাগাল, তার দুই ছেলে রুবেল মিয়া ও জুয়েল মিয়া, আব্দুল আলীর সেকেন্ড ইন কমান্ড আরজু মিয়া ও শাহেদ মিয়া।

আসামিদের মধ্যে রুবেল মিয়া, আরজু মিয়া ও পলাতক উস্তার মিয়াকে ফাঁসির পাশাপাশি দশ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। 

আর রুবেলের ভাই জুয়েল মিয়া ও শাহেদকে সাত বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন বিচারক। 

হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার  জুয়েল-রুবেলের বাবা আব্দুল আলী বাগাল এবং পলাতক আসামি বাবুল মিয়া ও বিল্লালকে আদালত খালাস দিয়েছেন।

গত বছর ১২ ফেব্রুয়ারি গ্রামের মাঠে খেলা দেখতে গিয়ে নিখোঁজ হয় বাহুবলের সুন্দ্রাটিকি গ্রামের আবদাল মিয়া তালুকদারের ছেলে মনির মিয়া (৭), ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে জাকারিয়া আহমেদ শুভ (৮), আবদুল আজিজের ছেলে তাজেল মিয়া (১০) ও আবদুল কাদিরের ছেলে ইসমাইল হোসেন (১০)।

মনির সুন্দ্রাটিকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে, তার দুই চাচাত ভাই শুভ ও তাজেল একই স্কুলে দ্বিতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত আর তাদের প্রতিবেশী ইসমাইল ছিল সুন্দ্রাটিকি মাদ্রাসায় পড়ত।

এদিকে ঘটনার পরদিন বাহুবল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন জাকারিয়া শুভ`র বাবা ওয়াহিদ মিয়া। পরে ১৬ ফেব্রুয়ারি বাহুবল থানায় অপর আরেকটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন মনিরের বাবা আব্দাল মিয়া।

১৭ ফেব্রুয়ারি গ্রামের পাশের মাঠ থেকে মাটিচাপা দেয়া অবস্থায় চার শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপরই অপহরণ মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে গৃহীত হয়। ঘটনার দিনই গ্রেফতার করা হয় গ্রামের একটি পঞ্চায়েতের সর্দার আব্দুল আলী বাগালকে। এরপর একে একে আরও ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

পরবর্তীতে পুলিশি তদন্তে বেরিয়ে আসে গ্রাম্য পঞ্চায়েত নিয়ে বিরোধের জের ধরে খুন হয় ওই ৪ শিশু। তদন্ত শেষে ওই বছরের ২৯ এপ্রিল নয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির তৎকালীন ওসি মোক্তাদির হোসেন। এর মধ্যে বাচ্চু মিয়া নামে এক আসামি সিএনজি অটোরিকশা চালক র‌্যাবের সঙ্গে `বন্দুকযুদ্ধে` নিহত হয়।
বর্তমানে কারাগারে আছেন মামলার প্রধান আসামি আবদুল আলী বাগাল, তার ছেলে জুয়েল মিয়া ও রুবেল মিয়া, ভাতিজা সাহেদ ওরফে সায়েদ ও অন্যতম সহযোগী হাবিবুর রহমান আরজু।
হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ বছরের ৭ সেপ্টেম্বর মামলার বিচারকাজ শুরু হয়। ওইদিন মামলার চার্জ গঠন হয়। পরে চলতি বছরের গত ১৫ মার্চ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের আদেশে মামলাটি সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়।

//এআর

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি