হবিগঞ্জে ব্যবসায়ী হত্যায় ৮ আসামির ফাঁসি, ১১ জনের যাবজ্জীবন
প্রকাশিত : ১৭:৩০, ২৩ আগস্ট ২০১৭
হবিগঞ্জে টিপু সুলতান নামে এক ব্যবসায়ীকে হত্যা মামলায় আট জনের ফাঁসি ও ১১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। বুধবার হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মাফরোজা পারভীন এ রায় দেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো- সুধাংশু সূত্রধর, সুভাষ সূত্রধর, এরশাদ আলী, আব্দুল মালেক ওরফে মালু, আতাউর রহমান, আবুল কাশেম, আবু লাল ও মোশারফ হোসেন। এর মধ্যে সুধাংশু, সুভাষ ও আব্দুল মালেক আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা পলাতক।
যাবজ্জীবন দণ্ডিতরা হলো- হরমুজ আলী, মোস্তাক আহমেদ, জানু মিয়া, শানু মিয়া, জাবেদ মিয়া, জহির মিয়া, বকুল মিয়া, আমির আলী, দুলাল মিয়া, সায়েদ মিয়া ও কামাল মিয়া। এদের মধ্যে আদালতে কেবল সায়েদ মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় শাহ আব্দুল গণি, আবু মিয়া ও আব্দুল মজিদকে এ মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, মাধবপুর উপজেলার গাংগাইল গ্রামের ব্যবসায়ী রিদওয়ানুল মহসিন টিপুর সঙ্গে সুধাংশু সেনের জমির পানি নিষ্কাশন ও সীমানা নিয়ে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে তাদের মধ্যে বিভিন্ন সময় ঝগড়া-বিবাদ হয়। ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি গভীর রাতে আসামিরা টিপুর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে হত্যা করে। এ সময় আসামিরা বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের মারপিট করে স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় নিহত টিপুর স্ত্রী হাসিনা আক্তার বেবি বাদী হয়ে ৯ জানুয়ারি মাধবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তদন্ত শেষে পুলিশ ২৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয়। রাষ্ট্রপক্ষে মোট ১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ, জেরা ও রেকর্ড পর্যালোচনার পর বিচারক আজ এ রায় দেন।
এছাড়া এ মামলার তিন আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। মামলা চলাকালে আসামি হিমাংশু মারা যান। রায় ঘোষণাকালে আদালতে আসামি সুধাংশু সেন, তার ভাই সুভাষ সেন, আব্দুল মালেক ওরফে মালু, আবু ছায়েদ ও খালাসপ্রাপ্ত নূরুল গণি শাহ ওরফে ফেরদৌস উপস্থিত ছিলেন। বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছেন।
//এআর
আরও পড়ুন