ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৫ নভেম্বর ২০২৪

পটুয়াখালীর পাঁচ রাজাকারের রায় আজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:০৬, ১৩ আগস্ট ২০১৮

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালীন হত্যা ও ধর্ষণের অপরাধে দায়ের করা মামলায় পটুয়াখালীর পাঁচ রাজাকারের মামলার রায় আজ সোমবার ঘোষণা করা হবে। বিচারপতি মো. শাহীনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রোববার এ দিন ধার্য করেন।

গত ৩০ মে উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রেখেছিলেন ট্রাইব্যুনাল। এটি হবে ২০১০ সালে গঠিত ট্রাইব্যুনালের ৩৪তম রায়।
অভিযুক্ত পাঁচ আসামি হলো- পটুয়াখালী সদর উপজেলার ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের গিলাবুনিয়া গ্রামের এছাহাক শিকদার, বল্লভপুর গ্রামের সোলায়মান মৃধা, গলাচিপা গ্রামের আবদুস সাত্তার পেদা, আবদুল গণি হাওলাদার এবং মো. আউয়াল ওরফে মৌলভী আবদুল আউয়াল। সবাই গ্রেফতার হয়ে কারাগারে।
ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম ও রেজিয়া সুলতানা চমন। আসামি পক্ষে রয়েছেন অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার পালোয়ান।
২০১৭ সালের ৮ মার্চ এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে হত্যা ও ধর্ষণসহ  বিভিন্ন অপরাধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। প্রসিকিউশন পক্ষ জানিয়েছে, আসামিদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা ও ধর্ষণের ঘটনার অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ১৫ নারীকে ধর্ষণ ও ১৭ জনকে নির্যাতনের পর হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে, যাদের মধ্যে ৮ জন বীরাঙ্গনা এখনও বেঁচে আছেন। এ ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে একাত্তরের ৪ মে স্থানীয় ১৫টি বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ রয়েছে।
তারা আরও জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তাসহ ১১ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। তাদের মধ্যে ছয়জন সাক্ষী মুক্তিযুদ্ধের সময় এই আসামিদের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। আর তদন্ত কর্মকর্তা ছাড়া বাকি সাক্ষীরা ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য। সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আসামিদের বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগই সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে প্রসিকিউশন সক্ষম হয়েছে বলে দাবি করে পাঁচ আসামিরই সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চাওয়া হয়েছে। অন্যদিকে আসামিদের আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান জানিয়েছেন, হত্যা ও ধর্ষণের যে দুটি অভিযোগ প্রসিকিউশন আসামিদের বিরুদ্ধে এনেছে, আদালতে তারা তা প্রমাণ করতে পারেননি এবং সাক্ষীরা এই আসামিদের নাম বলেননি। তাই আসামিদের খালাস চাওয়া হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে ২০১৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর নিজ নিজ এলাকা থেকে আসামিদের গ্রেফতার করে পুলিশ। ২০১৬ সালের ১৩ অক্টোবর একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সহযোগী হিসেবে যুদ্ধাপরাধে জড়িত হওয়ার অভিযোগ এনে এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। প্রসিকিউশনের অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, পাঁচ আসামির সবাই একাত্তরে ছিল মুসলিম লীগ সমর্থক। আর ২০১৫ সালে গ্রেফতার হওয়ার সময় তারা স্থানীয় বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত ছিল।
এসএ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি