৫২ প্রতিষ্ঠানের ভেজাল পণ্য বিক্রি বন্ধে সিসিএসের আইনি নোটিশ
প্রকাশিত : ২১:৩৩, ৬ মে ২০১৯ | আপডেট: ২১:৪৫, ৬ মে ২০১৯
‘বাংলাদশে স্ট্যার্ন্ডাস এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন’ (বিএসটিআই) এর পরীক্ষায় ৫২টি প্রতষ্ঠিানের ভেজাল ও নিম্মমানের পণ্য ধরা পড়ার পরও তা জব্দ ও প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ না নেওয়ায় দুই মন্ত্রণালয়রে সচিব ও সরকারের তিন প্রতিষ্ঠান প্রধানকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে ভোক্তা অধকিার সংস্থা ‘কনসাস কনজুমার্স সোসাইটি (সিসিএস)।
আইনি নোটিশ পাওয়া ব্যাক্তিরা হলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাণজ্যি মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদশে স্ট্যার্ন্ডাস এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই) -এর মহাপরচিালক (ডিজি), বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কতৃপক্ষ’র চেয়ারম্যান ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তররে মহাপরচিালকে (ডিজি)।
সোমবার এ আইনি নোটশি পাঠিয়েছেন সিসিএস-এর আইন উপদেষ্টা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শিহাব খান।
নোটিশে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব চেয়ে বলা হয়,গত ৩ মে ও ৪ মে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে উল্লখে করা হয়ছে,বিএসটিআই সম্প্রতি ২৭ ধরনের ৪০৬টি খাদ্য পণ্যের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করেছে। যেখানে ৫২টি প্রতিষ্ঠানের পণ্য নিম্মমানের ও ভেজাল রয়ছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মলেনে বিএসটিআই এটি উল্লেখ করে। আর ওই ৫২টি প্রতিষ্ঠানের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।
কিন্তু অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট পণ্যসমূহ জব্দ না করে শুধুমাত্র কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে এসব পণ্য বাজারে বিক্রির সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। তাই ৫২ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কেন আইনানুগ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে কনসাস কনজুর্মাস সোসাইটি (সিসিএিস)’র নির্বাহী পরচিালক পলাশ মাহমুদ বলেন, এসব পণ্য জব্দ বা বাজার থেকে প্রত্যাহারে সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তা বিক্রি করার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। এতে ভোক্তারা যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে তেমনি সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতি ভোক্তার আস্থা ও বিশ্বাস নষ্ট হচ্ছ। সে কারনে বিষয়টি জনগুরুত্বর্পূণ বিবেচনা করে অবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।
আরকে//
আরও পড়ুন