আবরার হত্যা: ৫ দিনের রিমান্ডে ১০ আসামি
প্রকাশিত : ১৫:৩৩, ৮ অক্টোবর ২০১৯ | আপডেট: ১৬:৫৭, ৮ অক্টোবর ২০১৯
বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় গ্রেফতার বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলসহ ১০ নেতাকে ৫ দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত।
আজ মঙ্গলবার সকালে এই ১০ আসামিকে আদালত চত্বরে হাজির করেছে চকবাজার থানা পুলিশ। ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরীর আদালত তাদের উপস্থাপন করেন। জানা যায়, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ আসামির প্রত্যেকের জন্য ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদনের প্রেক্ষিতে মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরীর আদালতে শুনানি অনুষ্ঠিত শেষে এই রায় দেন।
আবরার হত্যার ঘটনায় পুলিশ যে কয়েকজনকে আটক করেছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন—বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফুয়াদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী অনিক সরকার, ক্রীড়া সম্পাদক ও নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একই বর্ষের মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, ছাত্রলীগ নেতা রবিন, মুন্না, তানভীরুল আরেফিন ইথান, অমিত সাহা ও আল জামি।
প্রসঙ্গত, ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেওয়ার জের ধরে আবরার ফাহাদকে রোববার (৬ অক্টোবর) রাতে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দুইতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরদিন সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ লাশের ময়নাতদন্ত করেন। তিনি বলেন,‘ছেলেটিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
এই ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে রাজধানীর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত ৯ জন ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।
টিআর/
আরও পড়ুন