জেএমবি নেতা হত্যায় ৩ সহযোগীর ফাঁসি
প্রকাশিত : ১৭:৪৭, ২৫ নভেম্বর ২০১৯
চাপাইনবাবগঞ্জে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) অন্তর্কোন্দলে সংগঠনটির নেতা রুহুল আমীন ওরফে সালমান হত্যার ঘটনায় তিন সহযোগীকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার বাকি চার আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। একই সঙ্গে সকল আসামিকে এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. শওকত আলী এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
মত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জেলার নাচোল উপজেলার চাঁনপাড়া গ্রামের মৃত এরশাদের ছেলে মো. সানোয়ার (পলাতক), গোমস্তাপুর উপজেলার বালুগ্রাম রাজারামপুর গ্রামের মৃত আব্দুল কুদ্দসের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং একই উপজেলার বালুগ্রাম দক্ষিণটোলা গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুস শুকুর ওরফে শুকুর।
অন্যদিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেন, গোমস্তাপুর উপজেলার বোগলা গোপালনগর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে সামশুল হক, নওঁগা জেলার মান্দা উপজেলার আব্দুল মোতাকাব্বির ওরফে বুলবুল ওরফে ফাহিম ওরফে নবীন ওরফে সজিব ওরফে সনি, একই উপজেলার চকপুস্তম গ্রামের নজরুল ইসলাম টুনুর ছেলে সাইফুল ইসরাম ওরফে সাইফুল ও নিমতলা ঘন্টুটোলা গ্রামের মাহাতাবের ছেলে মো. শামীম।
রায়ের আগে পলাতক আসামী সানোয়ার ছাড়া বাকিদের কড়া নিরাপত্তায় আদালতে হাজির করা হয়। আসামিদের উপস্থিতিতে অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শওকত আলী এই রায় প্রদান করেন।
অতিরিক্ত সরকারি কৌশুলী আঞ্জুমান আরা জানান, ‘জেএমবি’র অভ্যন্তরীণ নেতৃত্বের দ্বন্দ্বের কারণে ২০১২ সালের ২৬ এপ্রিল রাত ১১টার সময় জেলার নাচোল উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের খোলসি বোরিয়া গ্রামে সংগঠনটির ওই সময়ের স্বষোষিত আমির রুহুল আমীন ওরফে সালমানকে হত্যা করা হয়।
সালমানের বাড়ি ঢাকার ধানমন্ডিতে। হত্যার পর তাকে জেলার গোমস্তাপুর থানার মহানন্দা নদীর ধাইনগর ঘাটে মাটির নীচে পুতে রাখে।
এ ঘটনায় নাচোল থানার এসআই আনিসুর বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও নাচোল থানার এসআই শ্রী গৌতম চন্দ্র মালী ২০১৫ সালের ২৯ আগষ্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালতের বিচারক রায় প্রদান করেন।
এআই/এসি
আরও পড়ুন