ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

এসকে সিনহার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার চার্জশিট অনুমোদন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:০৮, ৪ ডিসেম্বর ২০১৯

ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে ৪ কোটি টাকার ভুয়া ঋণ সৃষ্টি করে অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ (এসকে সিনহা) ১১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠনের অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ বুধবার কমিশনের সভায় চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেন দুদকের মহাপরিচালক (বিশেষ তদন্ত) সাঈদ মাহবুব খান। মৃত হিসেবে প্রমাণ মেলায় চার্জশিট থেকে এক আসামির নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। আর নতুন করে একজনের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত বছরের অক্টোবরে দুদকের অনুসন্ধানে ফারমার্স ব্যাংকের দু’টি অ্যাকাউন্ট থেকে চার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে জালিয়াতির প্রমাণ মেলে। মামলার আসামি শাহজাহান ও নিরঞ্জন ঐ ঋণ নিয়েছিলেন। ঋণের সেই টাকা পরে বিচারপতি সিনহার ব্যাংক হিসাবে যায়। টাকার উৎস হিসেবে বাড়ি বিক্রির কথা উল্লেখ করা হয়।

এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন, ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম শামীম, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাবেক ক্রেডিট প্রধান গাজী সালাহউদ্দিন, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক মো. জিয়া উদ্দিন আহমেদ, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট শাফিউদ্দিন আসকারী, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, টাঙ্গাইলের ব্যবসায়ী মো. শাহজাহান, একই এলাকার নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা, সান্ত্রী রায় ওরফে সিমি ও তার স্বামী রণজিৎ চন্দ্র সাহা।

এর আগে ব্যবসায়ী শাহজাহান ও নিরঞ্জন ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে চার কোটি টাকা ঋণ পেয়েছিলেন। সেই টাকা রণজিৎ চন্দ্র সাহার হাত ঘুরে বিচারপতি সিনহার বাড়ি বিক্রির টাকা হিসেবে দেখিয়ে তার ব্যাংক হিসেবে ঢুকেছে বলে অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তে নামে দুদক।

মামলায় ঘটনাস্থল দেখানো হয়, ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) শুলশান শাখা ও প্রধান কার্যালয়। ঘটনার সময় দেখানো হয়েছে ২০১৬ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর। মামলাটি দায়ের করা হয়েছে দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪২০, ১০৯ ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪ (২), (৩) ধারায়।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের অক্টোবরের শুরুতে ছুটিতে যান তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। পরে বিদেশ থেকে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন বলে ঐ সময় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

দুর্নীতি দমন কমিশনের সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত বলেন, ‘সাবেক প্রধান বিচারপতি বিদেশে অবস্থান করছেন। তাকে দেশে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আমাদের দেশের আইনে সব ব্যবস্থা রয়েছে। অন্যদের ক্ষেত্রে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তার ক্ষেত্রেও সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এমএস/এসি
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি