ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

দেখুন ভিডিও ...

‘বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে তার কাছে বিচার দিতাম’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:০৬, ১১ ডিসেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ১৫:১১, ১১ ডিসেম্বর ২০১৯

একজন বিচারপতির ছেলেকে পরীক্ষা ছাড়াই বার-কাউন্সিলে এডভোকেটশিপ দেয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করার রিট শুনতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।

বুধবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ রিট আবেদনটি শুনাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার অনিক আর হক ও ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

এদিকে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে লাইভে এসে এবিষয়ে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ‘একজন বিচারপতির ছেলের নাম থাকায় অভিযোগ শুনলেন না বরং বিব্রত হলেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের ছয়জন বিচারপতি। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে তার কাছে আজ বিচার দিতাম, এই বাংলাদেশ উনি কখনই চাননি! বঙ্গবন্ধু কন‌্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচার দিতে চাই!’

এর আগে গত ২১ ও ২৮ নভেম্বর হাইকোর্টের দুটি পৃথক বেঞ্চ রিট আবেদনটি শুনতে বিব্রতবোধ ও অপারগতা প্রকাশ করেন।

গত ২১ নভেম্বর আইনজীবী অন্তর্ভূক্তির পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হওয়ার পরও এক বিচারপতির ছেলেকে সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী গেজেট প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়। আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ও অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান এ রিট দায়ের করেন।

রিট আবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের পরীক্ষায় কয়েকবার অংশ নিয়েও কৃতকার্য হতে পারেননি হাইকোর্টের বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকীর ছেলে মো. জুম্মান সিদ্দিকী। অথচ জুম্মান সিদ্দিকীকে সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে গত ৩১ অক্টোবর গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।

রিটে ওই গেজেট এবং ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ বার কাউন্সিল অর্ডারের ২১(১) (খ) ও ৩০(৩) ধারা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। জুম্মান সিদ্দিকীসহ বার কাউন্সিলের সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়।
এসএ/

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি