ঢাবি শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ
ডিএনএ পরীক্ষায় মজনুর সম্পৃক্ততার প্রমাণ
প্রকাশিত : ১০:০০, ২৬ জানুয়ারি ২০২০
রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আটক মজনুর ডিএনএ পরীক্ষায় আলামত পাওয়া গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক শেখ নাজমুল আলম।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে সিআইডির এই কর্মকর্তা জানান, ‘ওই ছাত্রীর কাপড় থেকে সংগৃহীত দুটি আলামত ও মজনুর রক্ত প্রোফাইল করে পরীক্ষার মাধ্যমে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়।’
নাজমুল আলম বলেন, ‘ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় মজনু সম্পৃক্ত। ইতোমধ্যে সিআইডি তাদের প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছে।’
এদিকে ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদন হাতে পাওয়াার কথা নিশ্চিত করে এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার মশিউর রহমান শনিবার গণমাধ্যমকে জানান, ‘গত ২১ জানুয়ারি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি থেকে প্রতিবেদনটি পেয়েছি। সেখানে মজনুর ডিএনএ নমুনার সাথে ধর্ষিত শিক্ষার্থীর বিভিন্ন আলামত থেকে যে সব নমুনা নেওয়া হয়েছে তার মিল পাওয়া গেছে।’
এই মামলার তদন্ত কাজ প্রায় গুছিয়ে আনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে প্রতিবেদন পাওয়া গেলে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।’
ঢাকা মেডিকেলের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, ‘আমাদের প্রতিবেদন প্রায় গুছিয়ে আনা হয়েছে। খুব সহসাই তা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
প্রসঙ্গত, গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে ঢাবির নিজস্ব বাস ক্ষণিকায় রওনা দেন ধর্ষণের শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী। সন্ধ্যা ৭টার দিকে কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে বাস থেকে নামেন। এরপর একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি তার মুখ চেপে ধরে সড়কের পেছনে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। ধর্ষণের পাশাপাশি তাকে শারীরিক নির্যাতনও করা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গেছে। ধর্ষণের এক পর্যায়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান।
এরপর রাত ১০টার দিকে নিজেকে একটি নির্জন জায়গায় আবিষ্কার করেন ওই ছাত্রী। পরে সিএনজি নিয়ে ঢামেকে আসেন। রাত ১২টার দিকে ওই ছাত্রীকে ঢামেক হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করান তার সহপাঠীরা।
পরে ভুক্তভোগী ছাত্রীর দেয়া বর্ণনা অনুযায়ী বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৮ জানুয়ারি গ্রেফতার করা হয় মজনুকে।
এআই/
আরও পড়ুন