ঢাকা, শুক্রবার   ০৭ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

দুই মামলায় জি কে শামীমের জামিন 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:০৮, ৭ মার্চ ২০২০ | আপডেট: ১৮:৫৩, ৭ মার্চ ২০২০

Ekushey Television Ltd.

অস্ত্র ও মাদকের মামলায় জামিন পেয়েছেন বিতর্কিত ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া (জি কে) শামীম। প্রথমে অস্ত্র মামলায় জামিন পাওয়ার খবর অনুসন্ধানে জানা যায় মাদকের মামলাটিতেও তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন।

র‌্যাবের ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর পাঁচ মাস আগে গ্রেপ্তার হন শামীম। তখন গুলশান থানায় তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেছিল র‌্যাব। এর একটি অস্ত্র আইনে, একটি মাদক আইনে এবং একটি মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ আইনে। পরে দুর্নীতি দমন কমিশন আরেকটি মামলা করে।

অস্ত্র আইনে জি কে শামীম গত মাসে হাই কোর্ট থেকে জামিন পান বলে শনিবার খবর প্রকাশ পেলে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাদকের মামলায়ও তিনি জামিন পেয়ে গেছেন।

হাই কোর্ট থেকে জামিন আদেশের অনুলিপি গেছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে শনিবার ঢাকার জেলার মাহবুবুল ইসলাম বলেন, “অস্ত্র এবং মাদকের দুটি মামলায় তার (শামীম) জামিন হয়েছে। মাসখানেক আগে জামিন হয়েছে। তারিখ এই মুহুর্তে বলতে পারছি  না। কাগজপত্র না দেখে বলা যাবে না। তবে  দুর্নীতি দমন কমিশনের কোনো মামলায় শামীমের জামিন হয়নি।

গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকার গুলশানের নিকেতনে জিকে শামীমের অফিস থেকে তাকে এবং তার সাত দেহরক্ষীকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। জি কে শামীম যুবলীগ নেতা পরিচয়ে গণপূর্তের সব কাজের দরপত্র বাগিয়ে নিতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সরকারি শ’ শ’ কোটি টাকার কাজ ছিল তার প্রতিষ্ঠান জি কে বিল্ডার্সের হাতে। ওই অভিযানে নগদ প্রায় দুই কোটি টাকা, পৌনে ২০০ কোটি টাকার এফডিআর, আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ পাওয়ার কথা জানায় র‌্যাব।

গ্রেপ্তারের পরদিন তাদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় তিনটি মামলা করে র‌্যাব। এর মধ্যে অস্ত্র ও মুদ্রা পাচার মামলায় সবাইকে আসামি করা হলেও মাদক আইনের মামলায় শুধু শামীমকে আসামি দেখানো হয়।

গ্রেপ্তার জি কে শামীমের বিরুদ্ধে ২১ অক্টোবর জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৯৭ কোটি আট লাখ ৯৯ হাজার ৫৫১ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক।

অস্ত্র আইনের মামলাটির বিচার ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে বিচারিক আদালতে। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। মাদক আইনের মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার হাকিম আদালত থেকে ঢাকার আট নম্বর অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে সম্প্রতি স্থানান্তর হয়েছে। মুদ্রা পাচার ও অবৈধ সম্পদের মামলা দুটি এখনও তদন্তাধীন।

আরকে/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি