বর্ষায় ঘরবাড়ি পরিষ্কার করতে বাড়তি সতর্কতা
প্রকাশিত : ২৩:০২, ১২ জুলাই ২০২০
বর্ষায় ঘরবাড়ির প্রতি আলাদা নজর দিতেই হয়। এবার তো শুধু বর্ষা নয়, সাথে আছে করোনার ভয়ও। তাই ঘরকে শুধু পরিস্কার পরিচ্ছন্ন আর ঝকঝকে করলেই হবে না জীবাণুমুক্ত রাখা একান্তই প্রয়োজন। সংক্রমণ এড়াতে কিছু বাড়তি সাবধানতা নিতেই হবে।
বর্ষায় সবার আগে খেয়াল করুন আপনার বাড়ির ছাদ, যদি ছাদে কোন সমস্যা থাকে দ্রুত ব্যবস্থা নিন। মেঝে ও দুই দেওয়ালের সংযোগস্থলে ফাটল বা আর্দ্রতা জমতে দেখলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। ঘরকে জীবানু মুক্ত রাখতে হলে শ্যাতশ্যতে ভাব অবশ্যই দুর করতে হবে।
আপনার যদি অভ্যাস থাকে প্রতি বছর বাড়ি রং করার তাহলে বর্ষার আগেই তা সেরে ফেলতে হবে। রং করার উপায় না থাকলে অন্তত প্রাইমার কিংবা হোয়াইট ওয়াশ করিয়ে রাখতে পারেন।
কাঠের আসবাবপত্র দরজা ও জানলার ধার থেকে কিছুটা দূরে সরিয়ে রাখুন। বাড়িতে কাঠের কাজ চললে তাও কিন্তু শেষ করতে হবে বর্ষার আগেই। প্রয়োজনে কাজ বর্ষা কালে বন্ধ রাখুন।
বাড়িতে কার্পেট পাতার চল থাকলে কার্পেট গুটিয়ে রাখুন এই ঋতুতে। এতে কার্পেট ভিজে যাওয়ার ভয় কম থাকে। কাদার দাগ লাগার শঙ্কাও দূর হয়। এমনিতেই ভারী কার্পেট পরিষ্কার করা খুব কষ্টসাধ্য। একান্তই কার্পেট রাখতে চাইলে আজকাল বাজারে অনেক স্পঞ্জি, জল শোষণ ক্ষমতাযুক্ত কার্পেট পাওয়া যায়। বর্ষায় ব্যবহার করুন সে সব।
আলমারির ভিতর স্যাঁতসেঁতে ভাব কাটাতে রাখুন জীবাণুনাশক ন্যাপথলিন। খানিকটা নিমপাতাও রাখতে পারেন, নিম এক দিকে যেমন জলীয় ভাব কাটায়, অন্য দিকে জোলো গন্ধ রুখতেও সাহায্য করে।
ওয়ার, চাদর, পর্দা সব কিছুর বেলাতেই আস্থা রাখুন ড্রাই ক্লিনিংয়ে। রোজ কাচাকুচি কমিয়ে ড্রাই ক্লিনিংয়ে ভরসা না রাখলে বর্ষায় না শুকিয়ে দুর্গন্ধ ছড়াবে অচিরেই। সেখান থেকেও ব্যাকটিরিয়া সংক্রমিত হতে পার। তাই রোজের কাচাকুচি কমান। যেটুকু না কাচলেই নয়, সেটুকুই কাচুন। আবহাওয়ার উপর নির্ভর করেও এই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
বর্ষা আসার আগেই সম্ভব হলে এক জন বিশেষজ্ঞ কারিগরের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। গোটা বাড়ির অবস্থান ও পরিস্থিতি বুঝে তিনিই উপযুক্ত পরামর্শ দিতে সক্ষম হবেন। তাঁর উপদেশ মেনে নিন জরুরি ব্যবস্থা। বাড়ির মেরামতি বা নিষ্কাশন ব্যবস্থাকে জোরদার করতে এও এক ভাল উপায়।
জোলো ও স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় বাড়ির সদস্যদের স্বাস্থ্যের বিষয়টিও মাথায় রাখুন। ভুল করেও পানি জমতে দেবেন না আশপাশে। মশা ও অন্যান্য পোকামাকড় রুখতে কীটনাশক ব্যবহার করুন। এক দিন অন্তর ব্লিচিং পাউডার ও কার্বলিক অ্যাসিড ছড়ান বাড়ির চার পাশে।
এসি