ঢাকা, শনিবার   ২৯ জুন ২০২৪

শীত এলেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন? কী খাবেন? 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৩৬, ২ ডিসেম্বর ২০২১

তাপমাত্রা কমতে না কমতেই ভর করে এক রাশ আলস্য। এই কথায় একমত না হওয়ার মানুষ খুঁজে পাওয়া কিন্তু মুশকিল। লেপ-কম্বলের আরমাদায়ক বিছানা ছেড়ে সকালের মধ্যে উঠে গোসল-খাওয়া সেরে কাজে বেরোনোও বেশ কঠিন। 

এছাড়াও শীতে অনেকেই শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্লান্তি অনুভব করেন এবং শক্তি কম পান। ঘুমঘুম ভাবের জন্য কাজকর্মেরও ব্যাঘাত ঘটে। 

বিশেষজ্ঞদের মতে, ঋতুভেদের সঙ্গে সঙ্গে শরীর ও মনে কিছু পরিবর্তন হবে, এটাই স্বাভাবিক। তবে শীতের সময় এই বিষয়গুলো অনেক মানুষের ক্ষেত্রেই কিছুটা বেড়ে যায়। তবে একটু খাওয়াদাওয়ার দিকে নজর দিলে এই সমস্যা কমতে পারে। 

এ জন্য শীতকালের ডায়েটে এমন খাবার রাখতে হবে যা থেকে শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন পায়। 

জেনে নিন সেগুলি কী?

মাছ খেতে আমরা প্রায় প্রত্যেকেই পছন্দ করি। কোন কোন মাছের কী উপকরীতা এ সব কিছু না ভেবেই আমরা মাছ খাই। আসলে মাছে কম পরিমানে ফ্যাট থাকে। আর থাকে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়াও যে কোনও মাছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। যা বিশেষ করে ওরাল ক্যাভিটি, কোলন ক্যানসার, স্তন ক্যানসার, ওভারি ক্যানসার এবং প্রস্টেট ক্যানসারের আশঙ্কা কমিয়ে দেয়। তাই শীতে ক্লান্তি কাটাতে পাতে রাখুন মাছ।

মুরগীর মাংসেও আয়রন রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। যা খুব দ্রুত হজম হয়ে থাকে। প্রোটিন ছাড়াও ক্যালোরি, চর্বি, ভিটামিন এবং খনিজ পাওয়া যায় মুরগীর মাংস থেকে। তাই মুরগীও খাওয়া যেতে পারে। 

বীজ জাতীয় খাবার শরীরের জন্য দারুণ উপকারী। সব ধরনের বীজ আলাদা করে না খেয়ে একসঙ্গে সম পরিমাণ মিশিয়ে জারে রেখে দিতে পারেন। ওটসের সঙ্গে ফল আর বীজ মিশ্রণ যোগ করে খেতেই পারেন।

এতে পেটও ভরবে, শরীরও পাবে ভরপুর পুষ্টি। শীতে তাই তিল খেতে বলা হয়। এর মধ্যে থাকে ক্যালশিয়াম অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট জাতীয় উপাদান। যা লিভারকে যে কোনও রকম ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সক্ষম। হজম বাড়াতে, দাঁত ও হাড়ের দেখভাল করতেও তিলের জুড়ি মেলা ভার।

শীত সবজি খাওয়ার সেরা সময়। বাজারে এই সময় নানা রকমের টাটকা সবজি পাওয়া যায়। পালং শাক, কলমির শাক, লেটুস, ব্রকোলির মতো সবুজ সবজি ডায়েটে রাখতে পারেন। সালাদেও ব্যবহার করতে পারেন সবজি। 

শীতে শরীরে চনমনে ভাব আনতে এক মুঠো ড্রাই ফ্রুট কিন্তু দারুণ কাজে দেয়। বিকেলের চায়ের সঙ্গে কাঠবাদাম, কিশমিশ, আখরোট, পেস্তা, খেজুরের মতো ড্রাই ফ্রুট খেতে পারেন। আবার শীতকালে সকালে ঘুম ভাঙার পরই যদি একমুঠো বাদাম খান, তা হলে কিন্তু ক্লান্তি অনেকটা কেটে যাবে, এনার্জিও পাবেন।

সূত্র: এই সময়
এমএম/এসবি


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted







© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি