ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪

এক কেজির দাম লাখ টাকা!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:০৭, ১৪ ডিসেম্বর ২০২১ | আপডেট: ২৩:০৮, ১৪ ডিসেম্বর ২০২১

মনোহারি গোল্ড চা

মনোহারি গোল্ড চা

এক কেজি চা নিলাম করলে সর্বোচ্চ কত দাম হতে পারে? একশ বা দুইশ! কিন্তু আসামের একটি বাগানের চা যে দামে নিলাম হল- তা শুনে চোখ কপালে উঠেছে অনেকেরই। মঙ্গলবার গোহাটির চা নিলাম কেন্দ্রে এক কেজি চায়ের দাম উঠেছে ৯৯ হাজার ৯৯৯ টাকা, অর্থাৎ লাখ টাকা থেকে মাত্র ১ টাকা কম! 

আসামের ডিব্রুগড়ের মনোহারি টি এস্টেটে তৈরি হয়েছে এই ‘এক লাখি চা’! ‘মনোহারি গোল্ড’ নামের এই চায়ের দামই এখন ১ লাখ ছুঁই ছুঁই। যে দামে এই চা কিনে নিয়েছে গোহাটির চায়ের পাইকারী ব্যবসায়ী সৌরভ টি ট্রেডার্স।

টি এস্টেটটির দাবি, চায়ের দাম ওঠার ক্ষেত্রে এটাই সর্বকালীন রেকর্ড। এর আগে ভারতের কোথাও, কোনও নিলামেই, কোনও বছরেই এত দামে চা নিলাম হয়নি। 

তবে বিশেষ এই চায়ের প্রচুর চাহিদা রয়েছে বলেই জানিয়েছেন চায়ের ক্রেতা সৌরভ টি ট্রেডার্সের সিইও এমএল মহেশ্বরী। তিনি আরও বলেন, যদিও এর উৎপাদন খুব অল্পই হয়। যেমনটা এ বছর মাত্র এক এই কেজি চা-ই নিলামে উঠেছিল। 

মহেশ্বরীর দাবি, আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই চা খুঁজছিলাম। তবে মনোহারি টি এস্টেট এটা ব্য়ক্তিগতভাবে বিক্রি করতে চাইছিল না। তাই ওরা নিলামে তুলেছিল। আমাদের সৌভাগ্য যে, আমরা এটা কিনতে পেরেছি।

জানা গেছে, এই ‘মনোহারি গোল্ড’ ব্র্যান্ডের চা ২০১৮ সালে ৩৯ হাজার টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। সেবারও তা কিনে নিয়েছিল সৌরভ টি ট্রেডার্সই। পরের বছর সেই চায়ের দাম নিলামে ওঠে ৫০ হাজার টাকা প্রতি কেজি। আর গত বছর সেই চায়ের দাম ওঠে ৭৫ হাজার টাকা প্রতি কেজি। সেবার তা কিনে নিয়েছিল বিষ্ণু টি কোম্পানি।

মনোহারি টি এস্টেটের মালিক রাজন লোহিয়ার দাবি, আমরাই ২০১৮ সাল থেকে এই চায়ের উৎপাদন করছি। গোটা বিশ্বে এর চাহিদা রয়েছে। প্রতি বছরই নিলামে দাম বাড়ছে। স্বাস্থ্য সচেতন লোকজনই ওই চা কিনে পান করেন। 

তিনি আরও জানান, উজ্জ্বল হলুদ রঙের চা এটা। পাতা থেকে নয়, চায়ের কুঁড়ি থেকে বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি হয় এই চা। সেকেন্ড ফ্লাশে মে-জুন মাসে ভোরবেলা সংগ্রহ করা হয় এর কুঁড়ি। যা থেকে এবার মাত্র ২ কেজি প্রস্তুত করা হয়েছে। সূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস।

এনএস//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি