হৃদবান্ধব খাদ্যতালিকায় ‘ভুনা খিচুড়ি’

সকালের নাশতা, দুপুরের কিংবা রাতের খাবার—যেটাই হোক, অধিকাংশ মানুষই প্রত্যাশা করেন তার জন্যে ডাইনিং টেবিলে সাজানো থাকবে মাছ-মাংস-ডিম-দুধ। সাথে অন্যান্য খাবার। মাছ-মাংস ছাড়া যে দুপুর বা রাতের খাবার হতে পারে এটা অনেকে বিশ্বাসই করতে পারেন না। আর বর্তমান সময়ে শিশু-কিশোরদের অবস্থা তো আরো শোচনীয়। অনেকে তো মুরগির মাংস ছাড়া খেতেই পারে না। মুরগি তার চাই-ই চাই। সাথে সফট ড্রিংকস। শাকসবজি তার কাছে কোনো খাবারই নয়।

অথচ মাছ-মাংস-ডিম-দুধ ছাড়াও যে খাওয়া যায়, শুধু খাওয়া নয়—সুস্থও থাকা যায়, বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার ভেগান ও ভেজিটেরিয়ানরাই তার বাস্তব উদাহরণ। শুধু আমেরিকা-ইউরোপেই নয়, হার্ট ক্লাবের অনেক সদস্য আছেন যারা এখন পুরোপুরি ভেগান। মাছ-মাংস-ডিম-দুধ তো খানই না, এমনকি একফোঁটা তেলও খান না। তাদের লক্ষ্য একটাই—এনজিওপ্লাস্টি বা বাইপাস সার্জারি ছাড়াই হৃদরোগ নিরাময় করতে চান, অথবা স্থূলতা, ফ্যাটি লিভার ডিজিজ, উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিস নিরাময় করে ওষুধ ছাড়াই সুস্থ থাকতে চান।

আপনার প্রতিদিনের পরিচিত রেসিপির পাশাপাশি দেশি-বিদেশি অনেক বৈচিত্র্যময় রেসিপি আপনার খাবারের একঘেঁয়েমি দূর করবে, রুচির পরিবর্তন ঘটাবে এবং আপনাকে সার্বিকভাবে পুষ্টি দেবে। এজন্য আমাদের জানতে হবে কোন খাবারগুলো খাওয়া উচিত। আজ আমরা নতুন একটি রেসিপি সম্পর্কে জানবো। আজকের রেসিপি- ‘ভুনা খিচুড়ি’।
যা যা লাগবে:
মুগ ডাল ১ কাপ, পোলাও-এর চাল ২ কাপ, তেজপাতা ১টি, লবঙ্গ ২টি, সরিষার তেল ১ চা চামচ, দারুচিনি (২ সে.মি.) ৩ টুকরো, আদা মিহি কুচি ২ চা চামচ, পানি (ফুটানো) ৫ কাপ, লবণ দেড় চা চামচ।

তৈরি করবেন যেভাবে:
মুগ ডাল ভেজে নিন। চাল ও ডাল ধুয়ে পানি ঝরান। সরিষার তেলে আদা ও তেজপাতা দিয়ে চুলায় দিন। এরপর চাল ডাল লবঙ্গ দারুচিনি দিয়ে ভাজুন। ভাজা হলে ফুটানো পানি ও লবণ দিয়ে নাড়ুন। ফুটে উঠলে ঢেকে দিন। মৃদু জ্বালে ২০-২২ মিনিট ফুটান। বেরেস্তা দিয়ে ভুনা খিচুড়ি সাজিয়ে পরিবেশন করুন। [হলুদ, মরিচ দিয়ে ঝাল ভুনা খিচুড়িও তৈরি করতে পারেন]
সূত্র: বই- এনজিওপ্লাস্টি ও বাইপাস সার্জারি ছাড়াই হৃদরোগ নিরাময় ও প্রতিরোধ
এসএ/