ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৭ জানুয়ারি ২০২৫

জিন্স প্যান্টের জন্যও দিবস?

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:৫৯, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪

বর্তমানের প্রজন্মের কাছে সব থেকে চাহিদা সম্পন্ন পোশাক জিন্স প্যান্ট। আধুনিক ফ্যাশনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে এখন নারী-পুরুষ উভয়ের কাছেই জিন্স প্যান্টের চাহিদা তুঙ্গে। নিয়মিত ব্যবহারের জন্য জিন্সের বিকল্প নেই। সাধারণত টাইট-ফিটিং জিন্স পরতেই সবাই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। আরামদায়ক ও সহজে ময়লা হয় না বলে বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় এই পোশাক। তবে, জানেন কী জনপ্রিয় এই পোশাকটির জন্যও একটি দিবস আছে। হ্যাঁ আজ ৫ ডিসেম্বর, বিশ্বজুড়ে আজ পালিত হচ্ছে ব্লু জিন্স দিবস। 

আমেরিকায় জাতীয়ভাবে পালিত এই দিবস ধীরে ধীরে বিশ্বব্যাপী ফ্যাশনপ্রেমীদের মাঝে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।  

জিন্সের জন্ম ১৮০০ শতকে, তবে ব্লু জিন্সের ইতিহাস শুরু হয় ১৮৭৩ সালের ২০ মে। সেদিন জ্যাকব ডেভিস এবং লেভি স্ট্রস অ্যান্ড কোং ব্লু জিন্সের জন্য পেটেন্ট পান। এরপর এটি ধীরে ধীরে শ্রমজীবী মানুষের পোশাক থেকে পশ্চিমা ফ্যাশনের অন্যতম ভিত্তিতে পরিণত হয়। ধারণা করা হয়, একজন আমেরিকান প্রতি বছর গড়ে সাত জোড়া জিন্স কিনে থাকেন।  

জিন্স প্যান্টের বিশেষত্ব হলো এর আরামদায়ক এবং টেকসই গুণাবলি। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে জিন্স পরতে সবাই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। এটি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করা যায় এবং এর রং সহজে নষ্ট হয় না। এ কারণেই জিন্সের চাহিদা সবসময় তুঙ্গে।  

জিন্স আরামদায়ক হলেও স্কিনি বা অত্যধিক টাইট জিন্স পরার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। দীর্ঘ সময় স্কিনি জিন্স পরলে পায়ের পেশি ও স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এটি স্কিনি প্যান্ট সিনড্রোম নামে পরিচিত। এতে উরুর সামনের অংশে অসাড়তা, ব্যথা ও ঝিঁঝিঁর অনুভূতি হতে পারে।  

তাই টাইট জিন্সের পরিবর্তে আরামদায়ক ও লুজ ফিটিং জিন্স পরার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।  

জিন্সের চাহিদা তার টেকসই গুণাবলি, ফ্যাশন এবং আরামের কারণেই অটুট। তাই ব্লু জিন্স দিবস শুধু একটি পোশাক উদযাপনের দিন নয়, বরং এটি ফ্যাশনের ইতিহাসে একটি মাইলফলক। আজকের দিনে প্রিয় জিন্স পরে ফ্যাশন ও আরামের এই ঐতিহ্য উদযাপন করতে পারেন আপনিও!  

এমবি


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি