ঈদে ট্রেন্ডি হেয়ারস্টাইলে থাকুন স্টাইলিশ!
প্রকাশিত : ১৫:৪৬, ২১ মার্চ ২০২৫

ঈদ মানেই নতুন পোশাক, নতুন জুতো, আর সঙ্গে পারফেক্ট হেয়ারস্টাইল। মেয়েরা যেখানে পুরো মাসজুড়ে পার্লারে ব্যস্ত, ছেলেরা ঠিক ঈদের আগের রাতেই ছোটেন সেলুনে। ব্যস্ত সময়ের ভিড়ে নিজের লুক কেমন হবে, কোন হেয়ারস্টাইল বেছে নেবেন—এসব নিয়ে থাকেন দোটানায়। ভাবনা থেকে বেরিয়ে এবার জেনে নিন নতুন বছরের ট্রেন্ডে থাকা হেয়ারস্টাইলগুলো। ঈদে নিজের পছন্দমতো হেয়ারস্টাইল বেছে নিতে পারবেন। ট্রেন্ডি হেয়ারস্টাইলে আপনার লুকও ট্রেন্ডি হবে।
লেয়ার কাট
ট্রেন্ডি লুক দিতে চুলে লেয়ার কাট করে নিতে পারেন। সব বয়সের ছেলেদেরই এই চুলের কাট বেশ মানাবে। লেয়ার কাটের ধরনটা হলো মাথার পিছনের দিকে একটু ছোট এবং কানের দুই পাশে একটু ঢেকে ছোট করে কাটা। আর সামনের চুল খুব ছোটও থাকবে না, আবার খুব বড়ও থাকবে না।
স্পাইক কাট
তরুণদের কাছে এখন খুব জনপ্রিয় স্পাইক কাট। যাদের মুখ কিছুটা গোল, তারা কানের দুই পাশে চুল একটু ছোট রাখতে পারেন। এতে মুখটা ভালমতো ফুটে উঠবে। যাদের মুখ কিছুটা লম্বাটে ধরনের, তারা কানের দুই পাশে কিছুটা চুল রেখে দিন। সামনের চুলগুলো বড় রেখে স্পাইক করুন।
ক্ল্যাসিক ট্যাপার
মাঝারি লম্বা চুল যাদের তারা ক্ল্যাসিক ট্যাপার হেয়ার কাট নিতে পারবেন। এই স্টাইল করতে মাথার পিছনে ও কানের উপরের চুল ছোট করে কাটা হয়। কিন্তু কপালের চুল রাখা হয় লম্বা। চুলগুলো কপালের ওপর ছড়িয়ে থাকে।
ফ্রন্ট ব্যাংস
নতুন প্রজন্মের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় হেয়ার স্টাইল ফ্রন্ট ব্যাংস। অধিকাংশ পুরুষকেই এই হেয়ার স্টাইল করেন। এটি সব ধরণের মুখের আকৃতির সঙ্গে বেশ মানিয়ে যায়।
মুলেট
মুলেট হেয়ারস্টাইলে চুল সামনের দিকে, উপরের দিকে এবং পাশে ছোট করে কাটা হয়। কিন্তু মাথার পেছনের চুলগুলো লম্বা হয়। তরুণরা এই ধরণের হেয়ারস্টাইল পছন্দ করে।
মডার্ণ পম্পাডর হেয়ার কাট
মডার্ণ পম্পাডর হেয়ার স্টাইলে মাথার মাঝখানের চুলগুলো লম্বা হয়। পাশের চুলগুলোর ১-৩ মি.লি লম্বা হবে। এই হেয়ারস্টাইল করলে আগামী ১-২ মাসে আর চুল কাটার টেনশন নিতে হবে না।
ক্লাসিক কোউফ হেয়ার কাট
জনপ্রিয় ও ট্রেন্ডি হেয়ার স্টাইল হলো ক্লাসিক কোউফ। যারা চুল একটু বড় রাখেন তারা এই হেয়ারস্টাইল পছন্দ করেন। এই হেয়ারস্টাইলে সামনের চুলগুলো ৭ ইঞ্চির মতো লম্বা থাকবে। পাশের চুলগুলো লম্বা হবে ২ ইঞ্চির মতো। কলেজের ছাত্ররা এই হেয়ারস্টাইল বেশ পছন্দ করে।
বাজ কাটিং
যারা খেলোয়াড় বা খেলাধুলা পছন্দ করেন তারা এই ধরনের হেয়ারস্টাইল পছন্দ করবেন। খেলোয়াড়দের অধিকাংশই বাজ কাটিং করে থাকেন।
ক্লাসিক কাটিং
সাধারণত মুখের গড়ন আর মাথার আকৃতি অনুযায়ী ক্লাসিক কাট দেওয়া হয়। এই হেয়ারস্টাইলে মাথার একপাশে সিথি করে চুল আচরানো থাকে।
সামার কাট
প্রচণ্ড গরমে সামার কাট বেশ জনপ্রিয়। মাথার পিছনের দিকের চুল ছোট করে সামনের দিক একটু লম্বা বা বড় রাখা হয়। গোলাকার চেহারার শিশুদের এই হেয়ারস্টাইল বেশি মানায়।
ব্ল্যাংক কাট
সোজা বা ঢেউ খেলানো চুল যাদের, তারা এই হেয়ারস্টাইলটি করতে পারেন। এই হেয়ারস্টাইল মেয়েদের মধ্যেও জনপ্রিয়। তরুণরা এই হেয়ারস্টাইল বেশি পছন্দ করেন।
শর্ট কাট
এই হেয়ারস্টাইলও জনপ্রিয় তরুণদের কাছে। সব দিকের চুলই ছোট করে কেটে নেওয়া হয়। এরপর হেয়ার জেল দিয়ে নিজের মতো স্টাইল করা যায়। একে কক কাটও বলা হয়।
ফেড কাট
এই হেয়ারস্টাইলে পিছনে ও কানের ওপরে চুল একদম থাকেই না। কানের কমপক্ষে এক ইঞ্চি ওপর থেকে আর পিছনে মাথার অর্ধেক ওপর থেকে চুল কাটা শুরু হয়। এটি ফরমাল লুকের সঙ্গে বেশ মানায়।
ইমো কাট
মাঝারি লম্বা চুলে ইমো স্টাইল করা যাবে। ইমো স্টাইলে চুলগুলো এলোমেলোভাবে কাটা হয়। সামনের চুল বড় রাখা হয়। আর মাথার পিছনের চুল স্পাইক স্টাইলে ছোট রাখা হয়। সামনে এবং কানের পাশের বড় চুলগুলো মুখমন্ডলের ওপর প্রায় ছেয়ে থাকে।
ক্রু কাট
ক্রু কাট হচ্ছে মাথার পেছনের ও পাশের চুল খুব ছোট থাকবে। মাথার উপরের চুলগুলো ক্রমান্বয়ে কিছুটা বড় ও খাড়া করে রাখা হয়।
এমবি//